বুধবার (১৮ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার হিসেব অনুযায়ী, বরিশালে নতুন ৩৫ জনসহ মোট ৬১ জন, পটুয়াখালীতে নতুন দু’জনসহ মোট ২৩ জন, ভোলায় নতুন আট জনসহ ১৪ জন, পিরোজপুরে নতুন ১৩ জনসহ ৩২ জন, বরগুনায় নতুন ৩৮ জনসহ ৪৬ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন আট জনসহ ১৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
সহকারী পরিচালক শ্যামল জানান, কোয়ারেন্টাইনে থাকা ১৯৪ জনের অধিকাংশই প্রবাসী, এর মধ্যে বরিশাল ও বরগুনায় দু’জন হাসপাতালে রয়েছেন। তবে বরিশাল বিভাগে এখন পর্যন্ত কারো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মীরা। পাশাপাশি এদের সবাইকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার কাজে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সহায়তা করছে। আমরাও ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যায়ে খোঁজ রাখছি। বুধবার বিভাগীয় পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে মিটিং করেছি। সেখানে প্রবাসীসহ সন্দেহভাজনদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য চাপ প্রয়োগের একটি বিষয় সামনে এসেছে।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মীরা সব বাড়ি বাড়ি পুনরায় গিয়ে বৃহত আকারে সার্স করবে এবং কোয়ারেন্টাইনে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনে জেল-জরিমানাসহ যা যা করা প্রয়োজন তা করা হবে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১ টায় আবারো সভা করা হবে। সে সভায় ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এদিকে বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বরিশালে বিদেশফেরতের সংখ্যার হিসেবে কোয়ারেন্টাইনে থাকার সংখ্যাও বাড়ার কথা।
তিনি জানান, বিদেশফেরত ব্যক্তিরা জন্মস্থানের ঠিকানা দিলেও শহরে বা অন্য কোথায়ও অবস্থান করায় তাদের খুঁজে বের করায় সমস্যা হচ্ছে। যদিও তাদের খুঁজে বের করতে মাঠকর্মী ও প্রশাসন কাজ করছে। আর যাদের ১৪ দিন পার হয়েছে তাদের হোম কোয়ারেন্টেনে রাখা হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
এমএস/আরআইএস/