বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) পর্যন্ত এই নিয়ে সর্বমোট ৮৮২ জন রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টিনে। বুধবার (১৮ মার্চ) এই সংখ্যা ছিল ৬৩৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেটের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টার বিভাগের মধ্যে সিলেটে ১৫৭ জন, সুনামগঞ্জে ৩ জন, হবিগঞ্জে ২৩ জন এবং মৌলভীবাজারে ৬৫ জন হোম কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছে।
বিভাগের চার জেলায় মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন সিলেটে বুধবার ছিল ৪২১ জন, বৃহস্পতিবার তা বেড়ে হয়েছে ৫৭৮ জনে, সুনামগঞ্জে ৩ জন বেড়ে হয়েছে ৪৩ জন, হবিগঞ্জে ২২ জনের স্থলে হয়েছে ৪৫ জন এবং মৌলভীবাজারে ১১৩ জনের স্থলে হোম কোয়ারেন্টিনে সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১৬ জন। তবে তারা যথাযথ নিয়ম মানছেন কিনা, এই নিয়ে তারাও সন্দিহান রয়েছেন। এছাড়া নগরের শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন এক কিশোর ও এক নারী। তাদের ব্লাড স্যাম্পল পরীক্ষা পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রবাস থেকে ফিরেছে ২৮৫ জন। এর মধ্যে আবুধাবী থেকে এসেছে ১২৭ জন, যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার থেকে ৬৫ জন এবং বিভিন্ন দেশ থেকে ঢাকা হয়ে ফিরেছে আরও ৬০ জন।
আর গত ৬ মার্চ পর্যন্ত ২৬ হাজার ৩৮১ জন প্রবাস থেকে ফিরেছে বলেও জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের কাছে তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে ঢাকা থেকে যারা ফিরেছেন, তাদের স্ক্রিনিং করা হয়ে গেছে। তারা ব্যতীত অন্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে।
অধিদফতর সূত্র জানায়, কোয়ারেন্টিনে সমীক্ষার বিষয়টি প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) তত্ত্বাবধানে একটি করে, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে একটি করে কমিটি আছে। আর বিভাগীয় কমিশনারের তত্ত্বাবধানে বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি রয়েছে সার্বিক মনিটরিংয়ের জন্য। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওইসব কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তারা কোয়ারেন্টিনে সংখ্যাটি নিশ্চিত হতে পেরেছেন। স্থানীয় প্রশাসন রিপোর্ট দেওয়ার পাশাপাশি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের যুক্ত করে হোম কোয়ারেন্টিনে বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২০
এনইউ/এএটি