বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন সর্বস্তরের চিকিৎসকরা।
স্মারকলিপিতে তারা ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের অন্তঃবিভাগ চিকিৎসক পর্ষদের সভাপতি ডা. সুদীপ কুমার হালদার বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে কলেজের শতাধিক সিনিয়র চিকিৎসকের দিকনির্দেশনায় মিডলেভেলের শতাধিক চিকিৎসক ও দেড় শতাধিক ইন্টার্ন চিকিৎসকরা প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার রোগীর চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের জন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই।
তিনি বলেন, হাঁচি-কাশিসহ সব ধরনের সংক্রমণ নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে আসছেন। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। ন্যূনতম নিরাপত্তাহীন অবস্থায় চিকিৎসকদের ওই রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। তাই জরুরি বিভাগে রোগীদের স্ক্রিনিং আউট করে শুধুমাত্র উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন রোগীদের আইসোলশনের ব্যবস্থা করার নিয়ম চালু করতে হবে।
এ সময় আউটডোর ডক্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুন্নবী চৌধুরী তুহিন বলেন, নৈতিক কারণে আমারা ডেঙ্গু পরিস্থিতির সময় দায়িত্ব পালন করেছি। তখনো একই অবস্থা ছিল। তখন আমাদের চিকিৎসকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে ছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাস ডেঙ্গুর চেয়ে ভয়াবহ হওয়া সত্ত্বেও আমাদের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। তাই আমরা আমাদের বিভিন্ন দাব তুলে ধরেছি। খুব দ্রুততার সঙ্গে এসব দাবি পূরণ না হলে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করবো।
এদিকে হাসপাতালের সর্বস্থরের চিকিৎসকদের উপরক্ত দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন কলেজের অধ্যক্ষসহ সিনিয়র চিকিৎসক এবং হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আব্দুল রাজ্জাক।
তিনি বলেন, চিকিৎসকদের দাবিগুলো খুবই যুক্তিক। আমাদের হাসপাতালে করোন প্রতিরোধে চিকিৎসকদের জন্য তেমন নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি নিয়ে আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়ের যোগযোগ করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অন্তঃবিভাগ চিকিৎসক পর্ষদের সভাপতি ডা. সুদীপ কুমার হালদার, সাধারণ সম্পাদক ডা. আশিক দত্ত, আউটডোর ডক্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুন্নবী চৌধুরী তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মোস্তফা কামাল, বঙ্গবন্ধু ক্লাবের আহ্বায়ক ডা. তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২০
এমএস/এএটি