মৃত শিশুরা হলো- রোহিনা ত্রিপুরা (৮), সাগরিকা ত্রিপুরা (১১), কোহেন ত্রিপুরা (৩), বিশান ত্রিপুরা (২), ক্লাই ত্রিপুরা (২), মনে ত্রিপুরা (১.৫)।
এছাড়াও ওই মৌজার তিন গ্রামে আরও ১০৭ শিশু আক্রান্ত রয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান স্থানীয় হেডম্যান জৈপুতাং ত্রিপুরা।
স্থানীয় হেডম্যান জৈপুতাং ত্রিপুরা বলেন, তার অধীনস্ত লুং তিয়ান পাড়াতে ৮৫ পরিবার, কমলাপুরে আছে ৩০-৪০ পরিবার, অরুণ পাড়াতে আছে ৭০-৭৫ পরিবার। প্রত্যেক পরিবারে কমপক্ষে ৫ জন করে সদস্য রয়েছে।
তিনি জানান, আনুমানিক ২০ দিন আগে তার মৌজার তিনটি পাড়ায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। লুংতিয়ান পাড়াতে ৮৮ জন, কমলাপুর চাকমা পাড়াতে আছে ১২ জন এবং অরুণপাড়াতে আছে সাতজন। মোট ১০৭ জন রোগী এখনো আক্রান্ত রয়েছে। আক্রান্তরা সবাই শিশু।
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা বলেন, সাজেক ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী তিনটি গ্রাম অরুনপাড়া, নিউথাংপাড়া এবং হাইচপাড়ায় গত কয়েকদিনে হাম রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এতে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এবং ইতোমধ্যেই ছয়জন শিশু মারা গেছেন বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছি বলে চেয়ারম্যান জানান। এ সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট সবাই এগিয়ে এলে এই মাহামারি থেকে অত্র এলাকার শিশুদের বাঁচানো সম্ভব হবে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান হাবিব জিতু জানান, গত কয়েকদিন ধরে সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম এবং সীমান্তবর্তী শিয়ালদহ এলাকার তিনটি গ্রামের শিশুদের হাম রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনেছিলাম। কিন্তু দুর্গমতার কারণে ওইসব এলাকায় গিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। তারপরও আমরা বিজিবির দুইটি এবং মেডিক্যালের একটি দল পাঠিয়েছি। তারা হেলিকপ্টারে গিয়ে ওই এলাকায় পৌঁছে কাজ শুরু করে দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সময় লাগবে। তবে মিশন সফল হবে বলে আশাকরি।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে আক্রান্ত এলাকায় একটি মেডিক্যাল দল ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তবে সেখানে কোনো এমবিবিএস পাস ডাক্তার নেই। যারা কাজ করছে তারা সকলে প্যারামেডিক্স পাস ডাক্তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২০
এনটি