শুক্রবার (২০ মার্চ) বিকেলে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নতুন আক্রান্ত তিনজন আলাদা পরিবারের।
দেশের বাইরে থেকে এসে যারা হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন তাদের জন্য কিছু পরামর্শ দেন। এগুলো না মানলে সরকার কড়া পদক্ষেপ নেবে। একটি এলাকা এরইমধ্যে লকডাউন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নাসিমা সুলতানা বলেন, বয়স্ক বা যারা কিডনি, হার্টসহ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি অসুখে ভুগছেন তাদের বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে তারা যেন বাইরে না যান। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।
অধ্যাপক নাছিমা সুলতানা বলেন, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত স্ক্রিনিং করা হয়েছে মোট ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৭৪ জনের। ২৪ ঘণ্টায় স্কিনিং করা যাত্রীর সংখ্যা ৭ হাজার ২৩৬। ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনে কল ২৪১৭। তথ্য বাতায়নে ২৯ হাজার ৬২টি কল। সেবা নিয়েছেন ৫০ জন। আইসোলেশনে ৩০ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৪ জন।
‘বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এলে অবশ্যই ১৪ দিন বাসার একটি কক্ষে অবস্থান করতে হবে। কারো সঙ্গে মিশবেন না। ব্যবহার্য জিনিসপত্র অন্য কারো সঙ্গে মেলানো যাবে না। এসব উপদেশ মেনে চললে এদেশের মানুষ নিরাপদ থাকবে। হোম কোয়ারেন্টিন মেনে না চললে সরকার ব্যবস্থা নেবে। ’
তিনি বলেন, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। ইতোমধ্যে যারা আক্রান্ত তাদের এড়িয়ে চলতে হবে। হাঁচি শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। হাত মেলানো ও কোলাকুলি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ইতোমধ্যে ফ্লাইট অনেকগুলো বাতিল করা হয়েছে। যারা দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থ, তারা বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
অতিরিক্ত এই মহাপরিচালক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে মোট আক্রান্ত ২ লাখ ৯ হাজার ৮৩৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ১৬ হাজার ৫৫৬ জন। মোট মৃত্যু ৮৭৭৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৮২৮ জন। দক্ষিণ এশিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২৩ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২০
টিএম/এইচডি/এএ