শনিবার (২১ মার্চ) এ তিন হাসপাতাল মর্গের বেশ কয়েকজন ডোমের সঙ্গে কথা হলে তারা আতঙ্কের মধ্যে থেকে কাজ করার বিষয়টি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডোম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিনই মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠায় পুলিশ।
অপর একজন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় অনেকেরই। পরে সেইসব মরদেহগুলো পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। সে মরদেহগুলো ভাইরাস বহন করতে পারে। তাই আতঙ্ক ও নিজের নিরাপত্তা নিজে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরাও করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে আছি। যেহেতু আমরা মরদেহ কটার সময় উপস্থিত থাকি। আমাদের নির্দেশেই ডোমরা মরদেহের গলা ও ফুসফুস কেটে দেখায়। ওই দুই জায়গায় ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি থাকে। আমাদের প্রোটেকশনের জন্য আমরা এখনো কিছু পাইনি। তবে কলেজ প্রিন্সিপালকে অবগত করেছি উনি বলেছেন, বিষয়টি দেখছি। যতটুকু সম্ভব নিজেকে নিরাপদ রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সেলিম রেজা বাংলানিউজকে বলেন, লোকালভাবে প্রোটেকশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সচেতন থাকা প্রধান কাজ। ডাক্তারের নির্দেশেই ডোমরা মরদেহ কেটে থাকে। বিষয়টি নিয়ে তারাও যেমন চিন্তিত চিকিৎসকরা তেমনই চিন্তিত। তবে প্রোটেকশন নিয়ে কাজ করতে হবে।
এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মুখমণ্ডলসহ পুরো শরীর ঢেকে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এজেডএস/এইচএডি/