রোববার (২২ মার্চ) সকালে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ভোলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা ব্যক্তিদের মধ্যে ভোলা সদরে ৬১ জন, দৌলতখানে ২৬ জন, বোরহানউদ্দিনে ১৭ জন, লালমোহনে ৩৬ জন, তজুমদ্দিনে ৫৫ জন, চরফ্যাশনে ৩০ জন ও মনপুরা উপজেলার ২৩ জন রয়েছেন।
এছাড়াও হোম কোয়ারেন্টিনে অমান্য করে বাইরে ঘোরাফেরা করায় গত চারদিনে জেলার সাত উপজেলায় ১৪ প্রবাসীকে ৮৪ হাজার জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের সাধারণ শাখার সহকারী কমিশনার আকিব ওসমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বাজার মনিটরিং করতে জেলার সব উপজেলায় নিয়মিত অভিযান চলছে।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বাংলানিউজকে জানান, করোনা পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো রয়েছে, করোনা রোগীদের জন্য জেলার সাত হাসপাতালে ৮টি আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে এবং সেখানে ৫০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ডিসি কার্যারলয় সূত্র জানায়, গত ১৪ দিনে জেলার সাত উপজেলায় ৭৩৫ জন প্রবাসী ভোলায় এসছে। যাদের মধ্যে ভোলা সদরে ৯৯ জন, তজুমদ্দিনে ৬৮ জন, মনপুরায় ১৩ জন, লালমোহন ৮৯ জন, দৌলতখানে ৫২ জন, চরফ্যাশনে ১৪৪ জন ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১৬৩ জন। এখন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ২৪৮ জন।
হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা ব্যক্তিদের মধ্যে ওমান, ইতালি, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া, আবুদাবি থেকে আগত এমন ব্যক্তির সংখ্যাই বেশি বলে নিশ্চিত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে মানুষকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। সব শিক্ষার্থীদের বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে, গণসমাবেশ পূর্ব খেলা, মেলা উৎসব স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও চায়ের দোকান, হোটেল রেস্তোরাঁ, পার্কে জমায়েত নিষিদ্ধসহ হাত মেলানো ও কোলাকোলি থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা কোনো ব্যক্তি আসার খবর পাওয়া মাত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও জেলার বাইরের বাসিন্দারের না আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২০
এসআরএস