সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিভাগের ছয় জেলার হিসাব অনুযায়ী, হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বরিশালে নতুন ৩৯ জনসহ ৩৯৫ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ৩০৭ জনসহ ৫৮৭ জন, ভোলায় নতুন ২৪ জনসহ ২৭২ জন, পিরোজপুরে নতুন ৫৪ জনসহ ৩০৩ জন, বরগুনায় নতুন ৪৪ জনসহ ২৬৪ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ১৬ জনসহ ১৬১ জনকে।
এদিকে বরিশাল বিভাগে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন শেষ করেছেন ২৮৬ জন ও গত ২৪ ঘণ্টায় শেষ করেছেন ১৩৬ জন। হোম কোয়ারেন্টিন থেকে মোট ছাড়পত্র পাওয়াদের মধ্যে বরিশাল জেলায় ৯১ জন, পটুয়াখালীতে ৬৪ জন, পিরোজপুরে ৩৬ জন, বরগুনায় ৬৩ জন ও ঝালকাঠিতে ৩২ জন রয়েছে।
বাসুদেব কুমার জানান, কোয়ারেন্টিনে থাকা ১ হাজার ৯৯৪ জনের অধিকাংশই প্রবাসী। এছাড়া বরগুনা ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন থাকা তিন জন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর বরিশাল বিভাগে এখন পর্যন্ত কারো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মী। পাশাপাশি এদের সবাইকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার কাজে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সহায়তা করছে। আমরা ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যায়ে আমাদের সার্সিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আর সেবক-সেবিকা, চিকিৎকসহ সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তায় পারসোনাল প্রটেকশন সরঞ্জাম (পিপিই) এরইমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্টদের শঙ্কার কোনো কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, সর্দি-কাশি ও জ্বরের রোগীকে দেখার জন্য হাসপাতালগুলোতে আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতালগুলোর টিকিট কাউন্টারে গেলেই এ বিষয়ে তথ্য পাবেন রোগীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
এমএস/আরআইএস/