ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শেবাচিম হাসপাতালে কমেছে রোগীর সংখ্যা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
শেবাচিম হাসপাতালে কমেছে রোগীর সংখ্যা

বরিশাল: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে দিনে দিনে কমে আসছে রোগীর সংখ্যা।

এর কারণ হিসেবে করোনা সতর্কতায় যাত্রীবাহি গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ও পণ্যবাহী যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আসা এবং সাধারণ মানুষ ঘরে থাকায় সামাজিক কলহ-সংঘাত কমে যাওয়াকে মুখ্য হিসেবে দেখছেন চিকিৎসকরা।

তবে রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ চিকিৎসকদের না পাওয়ার খবরে হাসপাতালমুখী হচ্ছেন না তারা।

যদিও শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরা আন্তরিক রয়েছেন, তারা সবসময় হাসপাতালে অবস্থান করছেন এবং রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ মানুষ সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ ঘরে অবস্থান করায় এবং যানবাহন সংকটের কারণে হাসপাতালে রোগীদের আসার পরিমাণ কিছুটা কমেছে, তবে যাদের আসা প্রয়োজন তারা আসছেন এবং আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ সকালের হিসাব অনুযায়ী এ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১ হাজার ৫০৬ জন রোগী ভর্তি ছিল। পরের দিন তা কমে ১ হাজার ১৯০ জনে গিয়ে দাঁড়ায়। এরপর ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ২২ মার্চ রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে চলে যায়। ওইদিন সকালের হিসাব অনুযায়ী হাসপাতালের অন্তবিভাগে ৯৮৪ জন রোগী অবস্থান করছিলো। যা আরও ২ দিন পর অর্থাৎ ২৫ মার্চ গিয়ে দাঁড়ায় ৫২৩ জনে। এরপর থেকে হাসপাতালের অন্তবিভাগে প্রায়সমান সংখ্যক রোগী ভর্তি থাকছেন প্রতিদিন। সর্বশেষ ২৯ মার্চ ৫১১ জন রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী প্রতিদিন বিভিন্ন ওয়ার্ডে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের নাম কাটা হয়, তবে গত ১৬ মার্চের পর থেকে বেশিরভাগ রোগীই নিজ ইচ্ছায় হাসপাতাল ত্যাগ করতে শুরু করেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, যেখানে আগে গড়ে সাড়ে ৩ শ থেকে ৪ শ এর মধ্যে রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হতো সেখানে এখন দেড়শ রোগী ভর্তি হন। অনেক দিন তো এর থেকে কম রোগীও ভর্তি হচ্ছেন। আবার বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারগুলোতেও আগের মতো দীর্ঘলাইন হয় না বলে জানিয়েছেন কাউন্টারম্যানরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
এমএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।