ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

গাইবান্ধায় হোম কোয়ারেন্টিনে ২০৭

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
গাইবান্ধায় হোম কোয়ারেন্টিনে ২০৭

গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ছয় জনসহ হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ২০৭ জন। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রমাণ না মেলায় ২০ জনকে দেওয়া হয়েছে ছাড়পত্র। 

এদিকে এখন পর্যন্ত আমেরিকা প্রবাসী দু’জন এবং তাদের সংস্পর্শে আসা আরও দু’জনসহ মোট চারজন ছাড়া নতুন করে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি।

করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ও অপরজন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আইসোলেশনে রয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত নতুন ছয় জনসহ ২০৭ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এছাড়া কোয়ারেন্টিন শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ২০ জনকে।

তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্মীরা করোনার লক্ষণ দেখা দিলেই সন্দেহভাজন রোগীদের রক্ত সংগ্রহ করছেন এবং তা দ্রুত পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। ঢাকা থেকে রক্ত পরীক্ষার ফলাফল না জানা পর্যন্ত সন্দেহজনক রোগীদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে।  

অপরদিকে, জেলা প্রশাসনের প্রেসবিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, জেলার সাতটি সরকারি হাসপাতালে মোট ৪৮১টি বেড রয়েছে। এর মধ্যে করোনার চিকিৎসায় প্রস্তত বেডের সংখ্যা ৩৫টি ও বেসরকারি ১৯টি।  

জেলায় মোট ১২৬ জন সরকারি ও বেসরকারি ১৯ চিকিৎসক রয়েছে। সরকারি নার্স ১৯০ জন এবং বেসরকারি নার্স ১৯ জন।  

চিকিৎসকদের জন্য ১ হাজার ৩৩৬টি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) মজুদ রয়েছে।  ইতোমধ্যে ৩৫টি বিতরণ করা হয়েছে।  

এছাড়া করোনায় আক্রান্তদের জরুরি চিকিৎসায় স্থানান্তরের নিমিত্তে ১টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে এবং চিকিৎসা কেন্দ্রে জরুরি বিভাগে আইসোলেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।  

অন্যদিকে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলার সর্বত্র মাইকিং করা হচ্ছে। গণজমায়েত পরিহার ও সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে জেলায় টহল দেওয়া হচ্ছে।  

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জেলায় সরকারি সহায়তা হিসেবে পূর্বের মজুদকৃত ১৯৫ মেন্ট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও ২০০ মেন্ট্রিক টন চাল এবং ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।  

এর মধ্যে ১১৮ মেন্ট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং ৪টি পৌরসভার মেয়র বরাবরে উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ২৭৭ মেন্ট্রিক টন চাল ও ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে।  

এছাড়া সদর, সুন্দরগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এবং গাইবান্ধা পৌরসভায় ইতোমধ্যে ১ হাজার ৩১৮টি পরিবারের মধ্যে ১৩ দশমিক ১৮০ মেন্ট্রিক টন চাল ও নগদ ৫৫ হাজার ৯০০ টাকা দিয়ে বরাদ্দকৃত চালের সঙ্গে ডাল, আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি দিয়ে প্যাকেট প্রস্তুত করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।