ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনা: ৯১৫ জন চিকিৎসক ও ৯৮ জন নার্সকে প্রশিক্ষণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২০
করোনা: ৯১৫ জন চিকিৎসক ও ৯৮ জন নার্সকে প্রশিক্ষণ

ঢাকা: করোনা ভাইরাস (কোভিড -১৯) চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও হাসপাতাল সংক্রমণ রোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতোমধ্যে ৯১৫ জন চিকিৎসক ও ৯৮ জন নার্সকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ৫শ'র অধিক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

 প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান এবং ইপিআই সার্ভিলেন্স টিমের মাধ্যমে সন্দেহজনক কোভিড-১৯ রোগীর বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবেন। অনেকগুলো পিসিআর টেস্ট সেবাদানকারী কাছে নমুনা পরীক্ষা করে এমন ল্যাবরেটরিতে পাঠাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, দেশের জনগণকে সন্দেহজনক কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিষয় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ অথবা ৩৩৩, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) হটলাইনগুলো (০১৯৪৪৩৩৩২২২,০১৬৫৫) এবং স্থানীয় হাসপাতালগুলো কল করে অবহিত করতে অনুরোধ জানানো হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরের হট লাইনে কল এসেছে ৩ হাজার ৫৭৮টি, অদ্যাবধি মোট কল এসেছে ৯৪ হাজার ৭২৮টি। স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ নম্বরে ২৪ ঘণ্টায় কল এসেছে ৬৮ হাজার ৮৭৬ টিসহ মোট ১২ লাখ ৩২ হাজার ৯৬টি। এছাড়া ৩৩৩ নম্বরে ২৪ ঘণ্টায় কল এসেছে ২৫ হাজার ৪৯৪টিসহ ৪৩ হাজার ৭৫৯টি।

এর আগে দুপুরে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ১৪টি ল্যাবরেটরিতে ৩৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে আইইডিসিআর ১৩টি নমুনায় পজিটিভ পেয়েছে। এছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ৫ জনের নমুনায় পজিটিভ পেয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হলো ৮ জনের। আর নতুন করে ১৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে দেশে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ৮৮ জনে দাঁডালো।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তির বয়স ৫৫ বছর। তিনি নারায়ণগঞ্জের অধিবাসী। নতুন করে তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন। এখন বর্তমানে সংক্রমণ রয়েছে এমন সংখ্যা ৪৬। এরমধ্যে হাসপাতাল থেকে ৩২ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের মধ্যে মৃদু লক্ষণ এমন ১৪ জন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা আমাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এখন আইসোলেশন আছেন ৮৪ জন।

তিনি বলেন, নতুন আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ মধ্যে, দুইজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে। ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নয়জন। ৬০ বছর বয়সের ওপরে রয়েছে দুইজন। নতুন আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে ঢাকায় ১২ জন, নারায়ণগঞ্জের ৫ জন, মাদারীপুরে একজন। ১৮ জনের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ, তিনজন নারী।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
পিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।