ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

১৬০০ টন এসিসহ প্রস্তুত হচ্ছে বসুন্ধরার হাসপাতাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২০
১৬০০ টন এসিসহ প্রস্তুত হচ্ছে বসুন্ধরার হাসপাতাল

ঢাকা: রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক সংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) প্রস্তুত হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল। ইতোমধ্যে ১৬০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বসানোর মাধ্যমে প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে আইসিসিবি। সংশ্লিষ্টদের আশা আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই ২০৮৪টি শয্যা নিয়ে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হবে হাসপাতালটি।

সোমবার (২০ এপ্রিল) হাসপাতালটির নির্মাণ কাজের নিয়মিত পরিদর্শনে আসেন আইসিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিনসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা।  

এগিয়ে চলেছে হাসপাতালের কাজনির্মাণ কাজের বিভিন্ন দিক তদারকি শেষে এম এম জসীম উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ও নির্মাণসামগ্রী নিয়ে যেসব কাজ ছিল সেগুলো শেষ।

চিকিৎসক ও নার্সদের ওয়ার্ক স্টেশনসহ বিভিন্ন জিনিস আলাদা আলাদাভাবে এখানে এনে রাখা হয়েছে। এগুলো পোর্টেবল (স্থানান্তরযোগ্য)। এখন ফ্লোর পরিষ্কার করে পিভিসি কার্পেটিং করে দিলেই এগুলো এনে বসানো যাবে।  

‘আগামীকাল নাগাদ ফ্লোর কার্পেটিং হতে পারে। সেক্ষেত্রে আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে হাসপাতালটি আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে বুঝিয়ে দিতে পারবো। ইতোমধ্যে ১৬০০ টন এসি বসানো হয়েছে। এসব এসিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি পরিচালনা করতে যে বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়োজন হবে সেটি যোগান দিতে সাবস্টেশনে ও জেনারেটরও বসানো হয়েছে। ’
 
এগিয়ে চলেছে হাসপাতালের কাজদেশে এমন একটি বৃহৎ হাসপাতাল নির্মাণের কাজ বেশ জটিল উল্লেখ করে এম এম জসীম উদ্দিন বলেন, একটি করপোরেট গ্রুপ হিসেবে মানুষের প্রতি সম্প্রীতির টানে বসুন্ধরা গ্রুপ এই হাসপাতালের জন্য এগিয়ে এসেছে। একটি সরকারি হাসপাতালেই ৪০০ এর মতো বেড থাকে না, সেখানে প্রাথমিকভাবেই দুই হাজারের ওপরে বেড হবে এখানে যেটিকে পাঁচ হাজার শয্যা পর্যন্ত বাড়ানো যাবে প্রয়োজনে।

‘আমাদের এই টেন্ট বাংলাদেশ তো বটেই আশপাশের অনেক দেশের মধ্যেও সবচেয়ে বড় (প্রায় দেড় লাখ স্কয়ার ফুট) টেন্ট এরিয়া যেটিকে মালয়েশিয়াসহ দুই দেশে থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এটি সময়ের প্রয়োজন ছিল যা আমাদের চেয়ারম্যান স্যার সঠিক সময়ে বুঝতে পেরেছিলেন। এখানে ৬টি ব্লকে আইসোলেশন বেড ও কোয়ারেন্টিন বেডের পাশাপাশি অন্যান্য বেড এবং বিভাগও থাকবে। এই নির্মাণ কাজে আমাদের দেড় থেকে দুইশো কর্মী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। ’
 
...এদিকে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা সিটি বিভাগ) মাসুদুল আলম মোবাইলে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত কাজের অগ্রগতির তদারকি করছি। আজও আমি সেখানে যাবো বিকেলে। কাজের অগ্রগতি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা কাজ করছি আপনারা জানেন। আমরা আশা করছি আমরা নির্ধারিত সময়েই আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। বসুন্ধরা গ্রুপ এবং আইসিসিবি থেকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা পাচ্ছি।

হাসপাতাল নির্মাণে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর একটি দল আইসিসিবি পরির্দশন করে। এরপরই সেখানে অস্থায়ী হাসপাতাল বা আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।  

কোভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সরকারের যতদিন ব্যবহারের প্রয়োজন শেষ না হবে ততদিন আইসিসিবি ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেখানে দুই হাজার ৮৪ শয্যার অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির কাজ করছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে প্রয়োজন দেখা দিলে এটিকে পাঁচ হাজার শয্যায় রূপান্তর করা যাবে। সে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেলে বাংলাদেশে এটিই হবে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য বৃহত্তম সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২০
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।