ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

যে চিকিৎসায় করোনা থেকে সুস্থ হলেন না’গঞ্জ সিভিল সার্জন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২০
যে চিকিৎসায় করোনা থেকে সুস্থ হলেন না’গঞ্জ সিভিল সার্জন

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ করোনা থেকে সাতদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তিনি নিজ বাড়িতে চিকিৎসাসেবা নেন আইসোলেশনে থেকে। ইতোমধ্যেই দু’বার পরীক্ষা করে তিনি করোনামুক্ত বলে নিশ্চিত হয়েছেন। 

ঠিক কীভাবে চিকিৎসাসেবা নিয়ে তিনি নিজে নিজে সুস্থ হয়ে উঠেছেন সে ব্যাপারে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় তার।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বাংলানিউজকে নিজের চিকিৎসার বিস্তারিত তুলে ধরে নিজের সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন।

এখন তিনি বিশ্রামে রয়েছেন এবং আগামী সপ্তাহে আবারো তিনি নিজের কাজ শুরু করবেন বলে জানান। তবে তিনি এখন মোবাইলে তার দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ডা. ইমতিয়াজ বলেন, আমি শুরু থেকেই সুস্থ অনুভব করছিলাম। আমার জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি কিংবা অন্য কোনো উপসর্গ ছিল না। আমার জেনারেল হাসপাতালের একজন চিকিৎসক এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যিনি করোনা প্রতিরোধ কমিটির প্রতিনিধি তিনি আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের সংস্পর্শে থাকায় আমার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে আমার শরীরে। তখন আমি নিজে বাড়িতে আইসোলেশনে চলে আসি। তারপর ৭ দিনের চিকিৎসাসেবা নিজেই নেই।

‘৯ এপ্রিল আমার নমুনা সংগ্রহের ফলাফল আসে পজিটিভ। সেদিন থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৭ দিন আমি নিজেই বাড়িতে চিকিৎসাসেবা নেই। পরে ১৬ এপ্রিল আবারো প্রথম টেস্ট ও ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্ট করানো হলে সেখানে পরপর দু’বার আমার করোনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। এতে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে আমি নিশ্চিত হই আমি করোনামুক্ত। ’

সিভিল সার্জন বলেন, আমি প্রতিদিন নিয়মিত চার থেকে পাঁচবার গরম পানির গারগিল করতাম। পানিতে ভিনেগার ও লবণ ব্যবহার করেছি। নিয়ম করে প্রতিদিন একাধিকবার গরম পানির ভাপ নিয়েছি। প্রতিদিন গোসল করেছি এবং আমার জামাকাপড় আমি ধুয়েছি। আমার বিছানার চাদর ও বাথরুম আমি প্রতিদিন কিংবা কখনো একদিন পরেই পরিষ্কার করেছি। আমি নিজে একাকী আইসোলেট থেকেছি। একেবারেই সবার থেকে আলাদা। প্রতিদিন আমার টেবিলে খাবার রেখে চলে গেলে আমি খেয়ে সেটি পরিষ্কার করেছি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকে আল্লাহকে স্মরণ করেছি তবে তেমন কোনো ওষুধই আমি সেবন করিনি। কারণ এ রোগের কোনো নির্দিস্ট ওষুধ নেই।

‘সকালে একবার এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে আধা চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে গারগিল করেছি। বিকেলে আরেকবার করেছি। একইভাবে সকালে একবার এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে গারগিল করেছি, রাতেও করেছি। দিনে-রাতে একাধিকবার গরম পানির ভাপ নিয়েছি। ভিনেগার একটি অ্যাসিড, এতে জীবাণুর মৃত্যু ঘটে। একইভাবে গরম পানিতে লবণও কার্যকরী। এভাবেই আমি সুস্থ হয়েছি, এর বাইরে আমি আর কিছুই করিনি। ’ 

ডা. ইমতিয়াজ আরো জানান, তিনি এ সময়টাতে প্রচুর ভিটামিন 'সি' জাতীয় খাবার ও ফল খেয়েছেন। শাকসবজিও প্রচুর পরিমাণে খেয়েছেন। নিয়মিত খেয়েছেন লেবু, মালটা, আপেল, কমলা।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২০
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।