ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যোগ হচ্ছে হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২০
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যোগ হচ্ছে হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা কক্সবাজার সদর হাসপাতাল।

কক্সবাজার: করোনা মোকাবিলায় ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে কক্সবাজারের স্বাস্থ্য খাতে ধীরে ধীরে সক্ষমতা বাড়ছে। সদর হাসপাতালে ১৮ শয্যার আইসিইও, এইচডিও স্থাপন ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন কাজের উদ্বোধনের পর এবার এখানে যুক্ত হচ্ছে ৪টি ‘হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন’ (এইচএফএনসি), যা শ্বাসকষ্টে ভোগা সঙ্কটাপন্ন কোভিড ও নন-কোভিড রোগীদের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ৪ হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিনের মধ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দিচ্ছে ২টি, ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি দিচ্ছে ১টি ও ইউনিয়ন হাসপাতাল দিচ্ছে ১টি।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) দুপুর ১২টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন এক ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ক্যানোলা মেশিন সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আবসার বাংলানিউজকে বলেন, আপাতত জেলা প্রশাসনের দুটি ও ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতির একটি ক্যানোলা মেশিন কক্সবাজার সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্রুত এসব মেশিন কার্যকর করার জন্য ঢাকা থেকে টেকনিক্যাল পারসনও এরই মাঝে কক্সবাজার এসে পৌঁছেছেন। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে জেলা সদর হাসপাতালে এ সুবিধা চালু করা যাবে।

ক্যানোলা মেশিন প্রদান প্রসঙ্গে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, সারাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কক্সবাজারেও সংক্রমণের হার খুবই আশংকাজনক। এ পরিস্থিতি জেলাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর জন্যই আমাদের এ উদ্যোগ।

ক্যানোলা মেশিনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির অক্সিজেন সেচুরেশন লেভেল নেমে গেলে এসব হাই-ফ্লো অক্সিজেন থেরাপি মেশিন জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আশা করছি, আমাদের এ উদ্যোগ জেলাবাসীর জন্য কাজে আসবে। সংগঠনের সভাপতি স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।

সার্বিক ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, আমরা শুরু থেকেই এখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্ঠা করে যাচ্ছি। আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বেসরকারিভাবেও অনেকেই এগিয়ে আসছেন। আমরা তাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কক্সবাজারে হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিনের সংকট ছিল। আস্তে আস্তে তাও আমরা কাটিয়ে উঠছি, এটা আমাদের জন্য ভালো সংবাদ।

উল্লেখ্য কিছু দিন আগ পর্যন্তও কক্সবাজারে কোনো আইসিইউ ও এইচডিও ছিল না। গত ২০ জুন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর সহযোগিতায় জেলা সদর হাসপাতালে ১৮ শয্যার আইসিইউ ও এইচডিও ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়। এর পরপরই ইউনিসেফের সহযোগিতায় হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ শুরু হয়। এবার এসবের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ৪টি হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২০
এসবি/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।