ঢাকা: অটিস্টিক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজর (নান্ড) উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রোববার (৪ অক্টোবর) এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক।
বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজর প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. দিদারুল আলম।
নান্ডের অস্থায়ী এই ক্যাম্পাস উদ্বোধন করা হলেও একাডেমি প্রতিষ্ঠার জন্য ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে ৩ দশমিক ৩ একর জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত একাডেমিতে ১৫তলা প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১০তলা আবাসিক ভবন, ৬তলা বিশিষ্ট একটি ছাত্র হোস্টেল ও ৬তলা বিশিষ্ট একটি ছাত্রী হোস্টেল, ৫শ আসনবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের অডিটোরিয়াম এবং বিশেষায়িত সুইমিংপুল ও খেলার মাঠ থাকবে।
নান্ডের উদ্দেশ্য হলো একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জাতীয় অটিজম একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা, এর মাধ্যমে অটিজম ও এনডিডি শিক্ষার্থীদের একীভূত শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আবাসিক সুবিধা দেওয়া, অটিজম ও এনডিডি শিশুদের পরিচয় ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, এ ধরনের শিশুদের চাহিদা অনুসারে বিকল্প দক্ষতা যেমন নাচ, গান, ছবি আঁকা ইত্যাদির বিকাশ ঘটানো, অটিজম ও এনডিডি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ যেমন-কারিগরি, ভোকেশনাল ও আইটি প্রশিক্ষণ দেওয়া।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বিশ্বাস করে। কোনো ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে সেলক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে অটিজম ও এনডিডি ধারণাটির বহুল পরিচিতির পেছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কন্যা বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যে সমাজের বোঝা নয়; তাদেরকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে আমাদের উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া যায়’ এ ধারণাটি তৈরি করেছেন তিনিই। তার নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ অটিজম বিষয়ে সারাবিশ্বে পরিচিত ও নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, নান্ড যেন শুধুমাত্র অটিস্টিক শিশুদের পরিচর্চায় সীমাবদ্ধ না থাকে। এটি যেন সারাদেশের শিক্ষকদের অটিস্টিক শিশুদের পরিচর্চায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে অবদান রাখে।
তিনি বলেন, নান্ড যেন সেন্টার ফর রিসার্চ, সেন্টার ফর কনটেন্ট ডেভেলপম্যান্ট হিসেবে গড়ে উঠে সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২০
এমআইএইচ/এএটি