ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বেলারুশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ পর্যায়ে: রোসাটম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
বেলারুশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ পর্যায়ে: রোসাটম

ঢাকা: বেলারুশিয়ান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এর শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। ভিভিই আর প্রযুক্তির ইউনিট-১ এ মিনিমাম কন্ট্রোল পয়েন্টে আনা হয়েছে।

মিনিমাম কন্ট্রোল লেভেল অর্জন করার জন্যে পারমাণবিক রিয়্যাক্টর ফিশন চেইন বিক্রিয়া ধরে রাখার উপযোগী নিউট্রন ফ্লাক্স থাকতে হয়।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন (রোসাটম) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, রোসাটম বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বেলারুশের এ প্রকল্পটিও বাস্তবায়ন করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে রোসাটম আরও জানায়, এমসিপি সম্পন্ন (মিনিমাম পয়েন্ট পয়েন্ট এক শতাংশের নিচে) বলতে ফিজিক্যাল স্টার্টআপের শেষ স্টেজকে বোঝায়। এর মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা রিয়েক্টর পরিমাপ করতে পারবেন ও এটির মূল অংশ ডিজাইন অনুযায়ী কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করতে পারবেন। নিদিষ্ট সময়ে বিশেষজ্ঞরা রিয়েক্টরের ফার্স্ট ফুয়েল স্টেজে ৫০টিরও অধিক নিউট্রনিক পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন এবং পারমাণবিক রিয়েক্টরের নিরাপত্তা ও কর্মদক্ষতা নিরুপণ করতে পারবেন। এ পরীক্ষার ফলাফল বেলারুশিয়ান পারমাণবিক পর্যবেক্ষক গোসাটম্নডযো  এর কাছে  রিয়েক্টরটির  কার্যক্রম শুরু করার অনুমতির জন্য পাঠানো হবে। যদি এর ফলাফল সন্তোষজনক হয় তাহলে এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে এবং ক্রমান্বয়ে রিয়েক্টর বাড়ানো হবে।

অস্ত্রভেতস ভিত্তিক দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের এ বেলারুশিয়ান বিদ্যুৎকেন্দ্র দু’টিতে ভিভিইয়ার ১২০০ রিয়েক্টর আছে। এটি বেলারুশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যা সম্পূর্ণভাবে রাশিয়ান জেনারেশন থ্রি প্লাস প্রযুক্তির সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানের, নিরাপত্তা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক এটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) এর সুপারিশ ক্রমে নির্মিত হচ্ছে। এরকম আরও তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বর্তমানে রাশিয়াতে কার্যকর রয়েছে। দু’টি নভোভোযেন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে  ও একটি লেনিনগ্রাদ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে এ রাশিয়ার লেনিনগ্রাদ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ ইউনিট ছয় এ  চতুর্থ জেনারেশন তিন প্লাস প্রযুক্তির মিনিমাম কন্ট্রোল পয়েন্ট অর্জন করা হয়েছে।

ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও বাংলাদেশসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ এ প্রযুক্তিকে বেছে নিয়েছে। বর্তমানে রোসাটারের অর্ডার বুকে ১২টি আন্তর্জাতিক বাজারের ৩৬টি ভিভিইয়ার প্রযুক্তির ইউনিট রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
এসকে/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।