ঢাকা: কল, চ্যাট ও ভিডিও কল পরামর্শের মাধ্যমে দশ লাখের বেশি মানুষকে ডিজিটাল ডাক্তারি পরামর্শ দিয়েছে ‘ডিজিটাল হসপিটাল’। তারা বিশ্বাস করেন যে চিকিৎসকদের কাছ থেকে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা কেবলমাত্র আস্থা, সহানুভূতির এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে।
ডিজিটাল হসপিটাল তাদের ১২০ জনের বেশি চিকিৎসককে (এমবিবিএস ও বিশেষজ্ঞ) প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যাতে রোগীদের সঙ্গে প্রতিটি আলাপচারিতায় এ ৩টি স্তম্ভ (আস্থা, সহানুভূতির ও আন্তরিকতা) অন্তর্ভুক্ত থাকে। যাতে করে রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে একটি আন্তরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। তাই একবার সেবা নেওয়ার পর ৭২ শতাংশ রোগী পরামর্শের জন্য ফের ডিজিটাল হসপিটালকেই বেছে নেন।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করার জন্যে ডিজিটাল হসপিটাল তাদের সব চিকিৎসককে একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করে খুব কঠোর নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে নিয়োগ চূড়ান্ত করে থাকে। ডিজিটাল হসপিটালে চিকিৎসাসেবা স্থিতিশীল রাখা, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণের মধ্যদিয়ে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার মান বজায় রাখার জন্য কাজ করে থাকে। চিকিৎসক-রোগীর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, যেখানে চিকিৎসক ও রোগীর আন্তরিক যোগাযোগ আরও উন্নত করতে রোগীর মতামত মূল্যায়ন করা হয়। সব চিকিৎসা বিষয়ক মতামত সংরক্ষণ করে আস্থা, সহানুভূতির এবং আন্তরিকতার বিষয়ে চিকিৎসকদের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা হয় এবং ক্রমাগত পরামর্শ দেওয়া হয়।
গত দুই মাসে ডিজিটাল হসপিটালের চিকিৎসকরা এ কঠিন সময়ে রোগীদের উদ্বেগ কমাতে ও সহায়তা করতে ৫০ হাজারেরও বেশি অনলাইন চিকিৎসা পরামর্শ (১০ টাকা এবং তার চেয়েও কমে) দিয়েছেন। ৭৯ শতাংশ রোগী, তাদের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবরা ডিজিটাল হসপিটালের সেবা নেওয়ার পর চিকিৎসকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। দেখা গেছে, ৭২ শতাংশ রোগী দ্বিতীয়বার ডিজিটাল হসপিটালের সেবা নিয়েছেন।
ডিজিটাল হসপিটালের ক্লিনিকাল অপারেশনস প্রধান ডা. খালেদ হাসান বলেন, আমরা চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে ফলপ্রসূ যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহানুভূতি ও মমত্ববোধকে গুরুত্ব দিচ্ছি ও কীভাবে একজন রোগীর স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে সে বিষয় নিয়ে কাজ করছি এবং এটি নিশ্চিত করার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্বাস করি, এইভাবে আমরা মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা সহজেই মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে করতে সক্ষম হবো।
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহানুভূতি চিকিৎসক ও রোগীর সম্পর্কের মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচিত, যা রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ব্রিটিশ জার্নাল অব জেনারেল প্র্যাক্টিসে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, চিকিৎসকদের আন্তরিকতা রোগীর উদ্বেগ ও সঙ্কটের মাত্রা হ্রাস করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে যার ফলে ডায়াগনস্টিক এবং ক্লিনিক্যাল ভালো ফলাফল সরবরাহ করে। এর মাধ্যমে রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসার ইতিহাসের পাশাপাশি চিকিৎসকদের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে যোগাযোগ স্থাপনের পথ সুগম হয় এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। যার ফলে ক্লিনিক্যালি ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
একটি বিশ্লেষণে পাওয়া যায়, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের গ্লাইকোসিল্যাটেড হিমোগ্লোবিন (এইচবিএ ১ সি) এবং লো-ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং চিকিৎসক ও রোগীদের পারস্পরিক সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য ভালো ফলাফল এসেছিল। সাধারণ ঠাণ্ডাযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও একই ফলাফল দেখা যায় যেখানে রোগের মাত্রা কম ছিল এবং চিকিৎসকদের কাছে যাওয়া হ্রাস পেয়েছিল রোগীদের। অন্যান্য অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যে একজন দায়িত্বশীল চিকিৎসক রোগীদের ক্যান্সার থেকে বেঁচে থাকার এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক নিরাময়ের ক্ষেত্রেও ভালো অবদান রাখতে পারে।
আরও জানতে ডিজিটাল হসপিটাল- ০৮০০০১১১০০০ (টোল-ফ্রি) নম্বরে কল করুন, care.dh.health ভিজিট করুন বা ডিজিটাল হসপিটাল অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
ওএইচ/