ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

অক্টোবরে দ্বিগুণের বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২০
অক্টোবরে দ্বিগুণের বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে

ঢাকা: চলতি বছর রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু ও সন্দেহজনক ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে ৫৮৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৫৫৬ জন।

বর্তমানে ২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি। আর চলিত মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১২১ জন। মারা গেছেন একজন। যা গত মাসে ছিল মাত্র ৪৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের (এমআইএস) ডেপুটি চিফ (মেডিক্যাল) ডা. এ বি মো. শামছুজ্জামান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, চলতি বছর ডেঙ্গু ও ডেঙ্গু সন্দেহে এ পর্যন্ত চারজন রোগীর মৃত্যুর তথ্য সরকাররে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। দু’জনের মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করে আইইডিসিআর নিশ্চিত হয়েছে, একটি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত কারণে হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুমের তথ্য থেকে জানা যায়, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নয়জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ডেঙ্গু নিয়ে ২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এদের সবাই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি।

জানা যায়, চলতি বছরে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু ও সন্দেহজনক ডেঙ্গু নিয়ে ৫১৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি ১৯৯ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৫৪ জন, মার্চ মাসে ২৭ জন, এপ্রিল মাসে ২৫ জন, মে মাসে ১০ জন, জুন মাসে ২০ জন, জুলাই মাসে ২৩ জন, আগস্ট মাসে ৬৮ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ৪৭ জন, অক্টোবর মাসের এ পর্যন্ত ১২১ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, মশার আবাস ও প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করতে পারলেই এডিস মশা নির্মূল করা যাবে। রাজধানীসহ সারা দেশে এডিস মশামুক্ত করতে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করছে। এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করতে প্রতিনিয়ত অভিযান চলছে। তবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তুত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
পিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।