ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

খুমেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সব পদই শূন্য!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২০
খুমেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সব পদই শূন্য! সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনা বিভাগের ১০ জেলাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক জেলার মানুষকে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য নির্ভর করতে হয় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) ফরেনসিক বিভাগের ওপর। ওই রিপোর্টের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে খুন, অপমৃত্যু, ধর্ষণসহ গুরুত্বপূর্ণ মামলার ন্যায়বিচার।

কিন্তু এই ফরেনসিক বিভাগের সবকটি পদই এখন শূন্য। ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায়বিচার প্রার্থীরা।

খুমেক হাসপাতালে গেলেই দেখা মিলবে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও অপমৃত্যুর শিকার মানুষদের পরিবারের সদস্যদের ফরেনসিক রিপোর্ট প্রাপ্তির বিড়ম্বনার চিত্র।

রোববার (০১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় মহানগরীর কনসেন্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানানো হয়।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জনউদ্যোগ খুলনার উদ্যোগে খুমেক ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি, চিকিৎসক ও ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের সংকট নিরসনের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না। এসময় উপস্থিত ছিলেন জনউদ্যোগ, খুলনার নারী সেলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শীলু, সিপিবি নেতা মিজানুর রহমান বাবু, নারী নেত্রী নূরুন নাহার হীরা, সাংস্কৃতিক কর্মী সৈয়দা তৈফুন নাহার, আগুয়ান ৭১ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী, মহানগর সভাপতি আবিদ শান্ত, জনউদ্যোগ যুব সেলের নূর আলম ,সাংবাদিক ইয়াসীন অরাফাত রুমী ও জনউদ্যোগ, খুলনার সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সময়মত ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ হচ্ছে না, হচ্ছে না পরীক্ষা, ফলে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক থেকে প্রভাষকসহ ৬টি পদের সবকটিই শূন্য। তাই গত কয়েক মাস ধরে ফাইলবন্দি শতাধিক রিপোর্ট। ফলে কেবল ন্যায়বিচার প্রত্যাশিরা নয়, ফরেনসিক মেডিসিনের ক্লাস না হওয়ায় মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরাও বঞ্চিত।

খুমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) গত তিন মাসে ৫৩ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে ৯ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। আর বাকিরা ১৮ বছরের উর্দ্ধে। ২৪ সেপ্টেম্ববর ধর্ষণের শিকার হয়, খালিশপুর থানা এলাকায় ৬৫ বছর বয়সী এক নারী। এছাড়া বেশির ভাগ ঘটনাই খুলনার দাকোপ, বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা ও তেরোখাদা উপজেলার। কয়রা উপজেলার বালিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা সাড়ে ৪ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে গত ১৮ আগস্ট ওসিসিতে ভর্তি হয়।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর জেলার তেরখাদা উপজেলায় পুলিশ সদস্য কর্তৃক চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী (৯) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া মুজগুণীতে ২৫ অক্টোবর ২ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে ওসিসিতে ভর্তি হয়।

খুমেক হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ ও ওসিসির ল্যাবে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগের দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২০
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।