ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিএসএমএমইউতে অটোমেশন বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
বিএসএমএমইউতে অটোমেশন বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন দেশের প্রথম ৭০০ শয্যাবিশিষ্ট সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ইনফরমেশন সিস্টেমসহ অটোমেশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হাসাপাতালে কর্মরতদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।

রোববার (২৯ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ই’ ব্লকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই অটোএভার-এর হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেমের (এইচআইএস) প্রজেক্ট ম্যানেজার সাং ইল-কিম। কোরিয়ান ৮ জন প্রশিক্ষকসহ দেশীয় প্রশিক্ষকদের সহায়তায় চলমান এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি পরিচালিত হবে।

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ও সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, চিফ এস্টেট অফিসার ডা. এ কে এম শরীফুল ইসলাম, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সানজিন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অর্কিটেক্টের প্রধান কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার জাং হোবিন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উপ-প্রকল্প পরিচালক সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. নূর ই এলাহী উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞতিতে জানানো হয়, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০০ শয্যাবিশিষ্ট দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে সুপার স্পেশালাইজড হাসাতালের মূল ভবন ২তলা বেজমেন্টসহ ভবনের সকল ফ্লোর নির্মাণসহ কাঠামোগত কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ভবনে ইটের কাজ, প্লাস্টার, ফিনিশিং ওয়ার্ক, বেস প্যানেল, টেরাকোটা প্যানেল, এলমোনিয়াম লুবার, এলমোনিয়াম শিটসহ অন্যান্য কাজসহ সামগ্রিক কার্যক্রমও এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বমানের এই হাসপাতালটির সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, হাসপাতালটিতে একজন রোগী একই সেন্টার থেকে সব ধরনের সেবা নিতে পারবেন। হার্ট, কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে অক্রান্ত রোগীদের একই সেন্টার থেকে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হবে। বিশ্বমানের সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধ থাকবে হাসপাতালটি। রোগীদের সব রেকর্ড রাখা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও রাখা হবে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হবে একটি রোগী বান্ধব সবুজ হাসপাতাল। হসপিটাল ইনফরমেশন সেন্টার চালু করার মাধ্যমে রোগী ও হাসপাতাল পরিচালনা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে। বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধাসহ জনসাধারণ এখানে সাশ্রয়ীমূল্যে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবা পাবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটির মাধ্যমে বিদেশ নয়, দেশেই সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব হবে। চিকিৎসাসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার- সংবিধানের এই স্বীকৃত বাণী বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
পিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।