ঢাকা: শিশুরা তাদের রোগের উপসর্গ যথাযথভাবে বলতে না পারায় শিশুদের চিকিৎসাসেবা দেওয়াটা একটু জটিল। তবু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু কিডনি রোগীদের উন্নত চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বি-ব্লকের ডা. মিল্টন হলে
‘ন্যাশনাল গাইডলাইন ফর ম্যানেজমেন্ট অব পেডিয়াট্রিক কিডনি ডিজিজ’ শীর্ষক গাইডলাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া একথা বলেন।
তিনি বলেন, শিশু কিডনি রোগের সমন্বিত চিকিৎসা বিষয়ক ন্যাশনাল গাইডলাইন প্রকাশ শিশু কিডনি রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
‘ন্যাশনাল গাইডলাইনের মাধ্যমে সারাদেশের শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, শিক্ষার্থীসহ অন্য চিকিৎসকরাও শিশু কিডনি রোগের উন্নত ও যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক ধারণা পাবেন। এ ন্যাশনাল গাইডলাইন শিশু কিডনি রোগীদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। ’
কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, চিকিৎসকরা এই গাইডলাইন অনুসরণ করলে শিশুরা অপচিকিৎসার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, শিশু কিডনি রোগের সমন্বিত চিকিৎসক বিষয়ক ন্যাশনাল গাইডলাইন শিশুদের অসংক্রামক রোগের সঠিক চিকিৎসাসেবায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শিশু কিডনি রোগের সমন্বিত চিকিৎসা বিষয়ক ন্যাশনাল গাইডলাইনের শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য।
এসময় শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ, মেডিক্যাল শিক্ষার্থীসহ সারাদেশে চিকিৎকদের জন্য শিশু কিডনি রোগ ও চিকিৎসা বিষয়ক পাঁচটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে শিশু কিডনি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোলাম মঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ। অনলাইনে ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
শিশু কিডনি রোগের সমন্বিত চিকিৎসক বিষয়ক ন্যাশনাল গাইডলাইনটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু কিডনি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোলাম মাঈনউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে শিশুস্বাস্থ্য, শিশু কিডনি ও রোগ সম্পর্কিত পাঁচটি বইয়ের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন শিশু কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রণজিত রঞ্জন রায়। বইগুলো হলো- হ্যান্ডবুক অব পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি, শিশুর স্বাস্থ্যকথা, প্রাকটিক্যাল পেডিয়াট্রিক ক্লিনিক্যাল ম্যাথড, পেডিয়াট্রিক স্টুডেন্টস ম্যানুয়াল এবং পেডিয়াট্রিক প্র্যাকটিশনার্স ম্যানুয়াল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
পিএস/এএ