ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর থেকে শুরু করে টিকাদানের যেসব প্রক্রিয়া আছে তার জন্য স্বাস্থ্যখাত কাজ করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোর অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আগামী জানুয়ারির শেষ দিকে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই দেশে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। টিকাদান কর্মসূচিতে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি দেশের ভালো মানের বেসরকারি হাসপাতাল থেকেও ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে অনলাইনে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও করোনার নতুন স্টেইন (পরিবর্তিত রূপ) ছড়ানো নিয়ন্ত্রণকল্পে ভার্চ্যুয়াল সভায় যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনাকালে অনেক কিছু থেমে গেলেও দেশের স্বাস্থ্যখাত কখনো থামেনি। আগামীতেও থেমে থাকবে না। দেশের হাজারো শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবন থেকে যেনো একটি বছর নষ্ট হয়ে না যায় সেজন্য সামনেই এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার কাজ শুরু করা হবে।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনার পরিবর্তিত নতুন রূপ দেশে চলে এলে তার জন্য প্রাইভেট মেডিক্যাল হাসপাতালগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রাইভেট মেডিক্যাল হাসপাতালগুলোকে সরকারি হাসপাতালের মতো চিকিৎসা বিলের তালিকা প্রকাশ করে রাখারও অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও আনোয়ার খান মেডিক্যালের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম। এ সময় দেশের ৭০টি প্রাইভেট মেডিক্যালের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
পিএস/আরআইএস