ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঢাকা-চট্টগ্রামসহ ২৯ জেলা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২১
ঢাকা-চট্টগ্রামসহ ২৯ জেলা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

ঢাকা: সারাদেশের জেলাগুলোর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ মোট ২৯টি জেলা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা।

সোমবার (২৯ মার্চ) এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রথমে সরকারের ১৮টি নির্দেশনা পাঠ করে শোনান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে আগত তথ্য, রোগীর মাত্রা, সংক্রমণের হার ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করি। ২৪ মার্চ পর্যন্ত যে তথ্য আমাদের হাতে এসেছে তার ভিত্তিতে মোট ২৯টি জেলা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলাগুলোর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, নওগাঁ, সিলেট, খুলনা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নির্দেশনাগুলো স্থানীয় পর্যায়ে আরও কঠোর আকারে প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। নির্দেশনা কঠোর না হলে সাধারণ জনগণ সেগুলো মানবে না। নির্দেশনা কঠোর করার কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, নির্দেশনায় বিভিন্ন বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তবে যেসব স্থানে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি সেসব স্থানে স্থানীয় পর্যায়ে নির্দেশনা কঠোর আকারে প্রয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। প্রতি জেলায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের সমন্বয়ে কমিটি রয়েছে। সেই কমিটি চাইলে স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন বা কোনো পর্যটন স্থান বন্ধ করার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

করোনা পরিস্থিতি আবার খারাপের দিকে যাওয়ায় করোনা পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক নমুনা সংগ্রহের বুথ রয়েছে বলেও জানান সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি বলেন, নমুনা দিতে পারছেন না এমন পরিস্থিতি দেশের কোথাও নেই। এন্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী, পরীক্ষার ক্যাপাসিটি (সক্ষমতা) বাড়ানো হবে। নমুনা সংগ্রহের যেসব বুথ বন্ধ করা হয়েছে সেগুলোও খুলে দেওয়া হবে প্রয়োজন মনে হলে।

যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার মতো টিকা নেই বলেও জানান সেব্রিনা ফ্লোরা। তবে সবাইকেই টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।  

তিনি বলেন, এখন আমাদের কাছে ৪২ লাখ টিকা মজুদ আছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের আগে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার। সবার টিকা নেই। তবে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২১
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।