ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মাগুরায় বন্ধ হয়ে গেছে করোনা টিকাদান কার্যক্রম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২১
মাগুরায় বন্ধ হয়ে গেছে করোনা টিকাদান কার্যক্রম মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল।

মাগুরা: মাগুরায় করোনা টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। করোনা টিকার মজুত শেষ হওয়ায় রোববার (৩০ মে) থেকে জেলায় টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

 

বিকেলে জেলার সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ দেওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ অবস্থায় প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার অনিশ্চয়তায় পড়েছেন মানুষ। টিকা নিতে এসে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অনেকেই।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,  জেলায় টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন ৭৯ হাজার ৯০৫ জন। গত ২৪ জানুয়ারি থেকে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল, শ্রীপুর, মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ছয়টি বুথে একযোগে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

টিকার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় ৩০ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই সময় পর্যন্ত জেলায় প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৪৮ হাজার ৪৪৫ জন। আর ২৮ হাজার ৫৯৬ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন। এরপরই টিকার মজুত শেষ হয়ে যায়। সেই হিসেবে নিবন্ধিত ১ হাজার ৬৫৫ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।

মাগুরা সদর হাসপাতালের করোনা টিকাদান বুথে গিয়ে দেখা যায়, ফটকে বিজ্ঞপ্তি ঝুলছে। তাতে লেখা আছে, ‘কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম আপাতত সাময়িকভাবে বন্ধ থাকিবে। ধন্যবাদান্তে সিভিল সার্জন, মাগুরা। ’ টিকা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাবেন কি না, এ নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা।

বেরইল গ্রামের তাপস বিশ্বাস (৫৪) বলেন, ‘গতকাল মোবাইলে টিকা নেওয়ার তারিখ জানিয়ে মেসেজ দিল। সেই বার্তা পেয়ে আজ হাসপাতালে এসে দেখি টিকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কবে টিকা পাব, তাও কেউ খুলে বলছেন না। ’

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, গবেষণার জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ৩৫০ জনের রক্ত নিয়েছে। তাদের জন্য টিকার ৩৫টি ভায়াল (শিশি) রাখা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দুই বছর পর্যন্ত রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হবে।

সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, জেলায় ৭৮ হাজার ২৫০ ভায়াল করোনা টিকা বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছিল। আজ তা শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে আজ থেকে জেলায় করোনা টিকা দেওয়ার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই আবার টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে টিকা কবে আসবে তা তিনি জানাতে পারেন নি।

মাগুরায় রোববার পর্যন্ত ৭ হাজার ৮৮২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ১ হাজার ২৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫.৯ শতাংশ। তাদের মধ্যে ১ হাজার ২৩০ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন। আর করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ২৪ জন। সংক্রমিতের তুলনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৯১।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।