ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

প্রতিনিয়ত চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে করণীয় কী ?

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২১
প্রতিনিয়ত চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে করণীয় কী ?

ঢাকা: বাইরে যাওয়ার জন্য তৈরি হওয়ার আগে সবচেয়ে বেশি সময় লাগে চুলটাকে সুন্দরভাবে সেট করতে। কারণ, সৌন্দর্য পরিপূর্ণতা পায় ঝলমলে মজবুত চুলেই।

 ব্যস্ত জীবনে নিজেকে সব সময় তৈরি রাখার প্রথম উপায় স্বাস্থ্যোজ্জ্বল সুন্দর চুল। কিন্তু প্রতিদিন বাইরের আবহাওয়ায় চুল রুক্ষ হয়ে যায়, ধুলা-বালু জমে চুল হারায় মসৃণতা। সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে মেয়েরা সহজ সমাধান হিসেবে চুলে কেমিক্যালযুক্ত নানান পণ্য ব্যবহার করেন। সেসব পণ্য দ্রুত কাজ করলেও পরবর্তী সময়ে চুলের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। কাজ বা পড়াশোনার ফাঁকে প্রতিনিয়ত চুলের যত্ন নেওয়ার সময় না হওয়ায় চুলের নানান সমস্যার সঙ্গে যোগ হয় পুষ্টিহীনতা। ফলে চুল পড়তে থাকে অবিরত।

আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মালোজিস্টদের মতে, প্রতিদিন ৫০ থেকে ১শটার মতো চুল ঝরেপড়াই স্বাভাবিক। পুরানো চুল ঝরে নতুন চুল গজায়, ফলে চিন্তার কারণ থাকে না। কিন্তু এর বেশি চুল পড়া শুরু হলেই তখন তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বালিশে ঝরে থাকা, আঁচড়ানোর সময় চিরুণিতে উঠে আসা বা বাসার মেঝেতে পড়ে থাকা থোকা থোকা চুলগুলোই দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ।

আর এই চুল পড়াটাই আজকালকার নারীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা।  চুলকে ভালো রাখতে চুলের চাই সুষম পুষ্টি। এই পুষ্টির জন্য কেমিক্যালযুক্ত পণ্য একদমই উপযোগী নয়। এই পণ্য চুলের গোড়া দুর্বল করে আরো বেশি চুল পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে সচেতন মেয়েরা চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ নিয়ে থাকেন, হেয়ার প্যাকও ব্যবহার করেন অনেকেই।  

কিন্তু, চুল পড়া সমস্যা সমাধানে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারই সবচেয়ে কার্যকরী এবং নিরাপদ। কিন্তু চুলে সুষম পুষ্টি যোগাতে শুধুমাত্র একটি উপাদান, যেমন নারিকেল তেলের ব্যবহারই যথেষ্ট নয়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান আছে, যা নারিকেল তেলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায়।
 
নারিকেল তেল যেমন চুল কালো মসৃণ করে, মাথার ত্বককে রাখে কোমল আর নমনীয়।

তেমনই ব্রাহ্মীলতা চুলে বাড়তি পুষ্টি জুগিয়ে চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে, নতুন চুলও বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। মেথি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জুগিয়ে চুলকে মজবুত আর সিল্কি করে তোলে।
আমলা চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ, আর চুলকে করে ঘন কালো ঝলমলে। এবং অ্যালোভেরা চুলে আর মাথার ত্বকে আর্দ্রতা জুগিয়ে চুলকে করে কোমল, মসৃণ করে।  

এই সব উপাদানের সংমিশ্রণই চুলে সুষম পুষ্টি জুগিয়ে চুল পড়া লক্ষণীয়ভাবে কমায়।   কেমিক্যালযুক্ত পণ্য ব্যবহার করার অন্যতম কারণ হলো সহজলভ্যতা এবং সময়স্বল্পতা। শহুরে জীবনে কাজের ফাঁকে এসব প্রাকৃতিক উপাদান খুঁজে পাওয়া যেমন কঠিন, তেমনই আলাদাভাবে এগুলো ব্যবহার করাও সময়ের ব্যাপার।

এখন বিশ্বব্যাপী হেয়ার এক্সপার্টদের গবেষণা এবং চেষ্টার ফলে বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে এই উপাদানগুলোর সংমিশ্রণে তৈরি বিদেশি কিছু রেডিমেড হার্বাল হেয়ার অয়েল, যা চুলে সুষম পুষ্টি জোগাবে। এখন বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে নতুন কুমারিকা হেয়ারফল কন্ট্রোল অয়েল, যাতে এই সবগুলো প্রাকৃতিক উপাদানই আছে। সহজেই সুষম পুষ্টি জুগিয়ে চুলের যত্ন নেওয়া এখন খুবই সহজ। তাই স্বাস্থ্য ও ত্বকের যত্নের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত চুলের যত্ন নেওয়াই ভালো সিদ্ধান্ত। সুন্দর চুল মানেই সুন্দর আপনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।