ঢাকা : মাতুস্নের তুলনা কারও পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। কিংবা এর মাত্রা নির্ধারণ করাও বৃথা চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।
স্কুলগামী শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে অতিরিক্ত মাতৃস্নেহ সহায়ক ভূমিকা রাখে। এমনকি মাতৃস্নেহে তাদের মস্তিস্কও বড় আকারের হয়। ফলে শিশুরা তীক্ষ্ন স্মৃতি শক্তির অধিকারী হয়, খুব দ্রুত শিখতে পারে এবং পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপকেও সামলে নিতে পারে।
সম্প্রতি আমেরিকার ওয়াশিংটন ইউনির্ভাসিটির স্কুল অব মেডিসিন বিভাগ পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাতৃস্নেহে প্রাপ্ত শিশুরা ছোটবেলা থেকেই বড় মস্তিস্ক সম্পন্ন এবং মুক্তবুদ্ধির হয়।
এ প্রসঙ্গে আমেরিকার ন্যাশনাল একাডেমি অব সাইন্স এ প্রকাশিত সাম্প্রতিক সংখ্যায় লেখক জন এল লুবিও বলেছেন, পিতামাতার স্নেহ পাওয়া শিশুদের মানসিক বিকাশ অনাথ বা স্নেহ বঞ্চিতদের চেয়ে ভালো হয়।
এই তত্ত্ব ঠিক কতটুকু সত্য তা জানতে গবেষকগণ স্কুলগামী ৯২টি শিশুর মস্তিস্ক স্ক্যান করিয়েছিলেন। যারা প্রত্যেকেই স্কুলে ভর্তি হবার আগে নানা মানসিক কিংবা দৈহিক সমস্যায় ভুগতো।
পরবর্তীতে গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, মায়ের আদর যত্ন পাওয়া শিশুদের মস্তিস্ক অন্যদের তুলনায় অন্তত ১০ শতাংশ বড় হয়েছে। ফলে তারা স্কুলে অন্য শিশুদের তুলনায় সবক্ষেত্রে ভালো করছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৪৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১২