ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

গুণে ভরা কামরাঙ্গা

মৌসুমী মণ্ডল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১২
গুণে ভরা কামরাঙ্গা

ঢাকা : বাড়ির আনাচে-কানাচে গজিয়ে ওঠা গাছ কামরাঙ্গা। সবুজ ও হলুদের মিশ্রণে বাহারি ফলটির বেশ চাহিদা রয়েছে আমাদের কাছে।



এই সময়ে ফলটি বাজারেও বেশ সহজলভ্য। অন্যান্য ফলের তুলনায় এর দামও কম। তাই ঔষধীগুণ সমৃদ্ধ ফল কামরাঙ্গা যেমন পুরণ করবে শরীরের পুষ্টি তেমনি প্রতিরোধ করবে নানান রোগ।

টক ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত দু’ধরনের কামরাঙ্গা সাধারণত পাওয়া যায়। এতে ভিটামিন-এ অল্প পরিমাণে থাকলেও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান উল্লেখযোগ্য পরিমাণে থাকে।

এতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ আম, আনারস ও আঙ্গুরের চেয়ে বেশি। কামরাঙ্গায় আয়রনের পরিমাণ পাকা কাঁঠাল, পাকা পেঁপে, লিচু, কমলালেবু ও ডাবের পানির থেকেও বেশি। আবার কামরাঙ্গা দিয়ে জ্যাম, জেলি, চাটনি ইত্যাদি তৈরি করা যায়।

জেনে নিই এর উপকারিতা :

•    এতে থাকে এলজিক এসিড যা খাদ্যনালির (অন্ত্রের) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
•    এর পাতা ও কচি ফলের রসে রয়েছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
•    পাকা ফল রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।
•    ফল ও পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে বমি বন্ধ হয়।
•    কামরাঙ্গা ত্বক মসৃণ করে।
•    এর পাতা ও ডগার গুঁড়া খেলে জলবসন্ত ও বক্রকৃমি নিরাময় হয়।
•    কামরাঙ্গা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠাণ্ডাজনিত (সর্দিকাশি) সমস্যা সহজেই ভালো হয়ে যায়।
•    এর মূল বিষনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
•    কামরাঙ্গা ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়।
•    পেটের ব্যথায় কামরাঙ্গা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
•    শুকানো কামরাঙ্গা জ্বরের জন্য খুবই উপকারী।
•    ২ গ্রাম পরিমাণ শুকনো কামরাঙ্গার গুঁড়া পানির সঙ্গে রোজ একবার করে খেলে অর্শ রোগে উপকার পাওয়া যায়।
•    কামরাঙ্গা শীতল ও টক। তাই ঘাম, কফ ও বাতনাশক হিসেবে কাজ করে।

লেখক : ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট, লেজার মেডিক্যাল সেন্টার  

বাংলাদেশ সময় : ০৮৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।