ঢাকা : নিয়মিত যেসব অসুখ আমাদের অসুস্থ করে দেয়। কিংবা অতিপ্রিয়জনকে খুব নিষ্ঠুরভাবে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়।
একটু সচেতনতা, নিয়ন্ত্রিত জীবন, খাদ্য অভ্যাসের সামান্য পরিবর্তনই সুস্থভাবে বেঁচে থাকার মূলমন্ত্র। তাই বিশ্বে আশংকাজনক হারে বেড়ে যাওয়া হৃদরোগের লাগাম টেনে ধরতে এখনই প্রয়োজন সচেতনতা।
এজন্য আগে জানা প্রয়োজন হৃদরোগ কেন হয়: সাধারণত হার্টের (হৃদয়ের)রক্তনালীতে ব্লকের কারণে এ রোগ হয়ে থাকে। তাই জানা প্রয়োজন এক্ষেত্রে রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো কি....
• ডায়াবেটিস
• ধুমপান
• উচ্চরক্তচাপ
• মানসিক দুঃশ্চিন্তা
• রক্তে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টরল
• বংশগত কারণেও হতে পারে (বিশেষ করে যাদের পিতামাতা, ভাই-বোনের হৃদরোগ আগে হয়েছে, তাদের সম্ভাবনা বেশি থাকে)।
• নারীদের চেয়ে পুরুষের বেশি হৃদরোগ হয়ে থাকে।
• বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোগের সম্ভাবনাও বাড়তে থাকে।
• বেশি ওজন যাদের থাকে তাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা থাকে।
• যারা পরিশ্রমি নয়। অর্থাৎ অলস ব্যক্তির এ রোগের ঝুঁকি থাকে।
ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী মনে রাখা প্রয়োজন যে, এ ধরণের সমস্যা যাদের আছে এবং যাদের বয়স বেশি তাদের এখনউ একবার ডাক্তারের কাছ থেকে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।
তাছাড়া ৩৫ বছরের পুরুষ এবং ৪০ বছরের বেশি বয়সের নারীদের এখনিই হৃদরোগ সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরিক্ষাগুলো করিয়ে এ রোগ থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারেন।
এখানে মনে রাখা প্রয়োজন, হৃদপিণ্ড একটি যন্ত্র যা বিকল হওয়ার আগেই এ ব্যাপারে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। এজন্য প্রতিবছর কমপক্ষে একবার পিরিওডিক মেইনটেন্যান্স বা চেকআপ করান।
বাংলাদেশ সময় : ১০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১২