ঢাকা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে মৃত্যুঝুঁকিও বাড়বে বলে উল্লেখ করেছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন।
সম্প্রতি দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বাংলানিউজকে এ কথা বলেন।
ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, আমার মতে দেশে এটা চতুর্থ ঢেউ। নতুন ঢেউ আসবেই। কিন্তু সেটাকে কতটা বিলম্বিত করা যায়, সেটাই হচ্ছে আসল বিষয়। ওমিক্রনের কারণে এই ঢেউটা এগিয়ে আসছে। অনেক মানুষ যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে আরও বেশি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা থেকে যায়। যদিও যারা টিকা নিয়েছেন, যারা আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারা আক্রান্ত হলেও তাদের মৃত্যুঝুঁকি এবং গুরুত্বর অসুস্থতা কম। বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষ এখনো টিকার আওতার বাইরে। তাদের মধ্যে ওমিক্রন ছড়িয়ে পরলে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে। যারা টিকা নিয়েছেন এবং সুস্থ আছেন, বিছানায় পড়ে নাই কিংবা অন্য কোনো রোগ নেই, তাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি কম। তবে সংক্রমণ যতবেশি বাড়বে, ততবেশি মৃত্যুঝুঁকিও বাড়বে।
করোনা প্রতিরোধ সম্পর্কে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি তো মানতেই হবে। যারা করোনা শনাক্ত হচ্ছেন, তারা যেন আলাদা থাকতে পাড়েন, সে বিষয়ে তাকে সহযোগিতা করা, অনেকেই হয়তো সামান্য জ্বর বা সর্দি-কাশি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তারা যেন দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে, আলাদা থাকতে পারে এ জন্য সামাজিক সহায়তা দরকার। কারণ সবার তো আর কাজ কর্ম না করে বাড়িতে থেকে খাওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য নাই।
তিনি আরও বলেন, যেসব স্থানে জনসমাগম বেশি হয়, সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জনসমাগম কিংবা ভিড় নিয়ন্ত্রণ কিন্তু একজন লোক একা করতে পারে না। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সেখানকার কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতাল, ব্যাংক, কমিউনিটি সেন্টার, কিংবা অন্য যেকোনো সেবাকেন্দ্রে, বিপণি বিতানসহ বদ্ধ স্থানে অনেক মানুষ জড়ো হওয়াটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কেউ যদি প্রয়োজনে এসব স্থানে যেতে বাধ্য হয়, তাহলে ১৫ মিনিটের মধ্যে যেন কাজ সেরে সেখান থেকে বেড়িয়ে আসতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা।
টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যতবেশি লোককে আমরা টিকা দিতে পারব, ততই আমাদের জন্য ভালো। একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে যারা টিকা নেওয়া বাকি রয়েছে, বয়স্ক মানুষ, তারা যেন দ্রুত টিকা নিতে পারে, সেই বিষয়ে সার্বিক সহায়তা করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২২
আরকেআর/জেএইচটি