রাজশাহী: রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ২৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম ইয়াজদানী জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দুইজনের মধ্যে একজন নারী এবং একজন পুরুষ রয়েছেন। তাদের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তারা রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। করোনা উপসর্গ নিয়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু নমুনা পরীক্ষার আগেই তাদের অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে তাদেরকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাদের মরদেহ দাফনের জন্য বলা হয়েছে বলেও জানান পরিচালক।
তিনি আরও জানান, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে থাকা ১০৪ শয্যার বিপরীতে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মোট ৪৩ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে রাজশাহীর ২৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৬ জন, নওগাঁর ৩ জন, নাটোরের ২ জন, পাবনার ৩ জন, কুষ্টিয়ার একজন এবং জয়পুরহাটের ৩ জন রোগী রয়েছেন। এর মধ্যে আবার করোনা পজিটিভ রোগী রয়েছেন ৩০ জন। করোনা উপসর্গে ভুগছেন এমন রোগী রয়েছেন ৭ জন। এছাড়া করোনা ধরা পড়েনি এমন রোগী ভর্তি রয়েছেন আরও ৬ জন।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়নি। তবে, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে ১৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৪৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীর ২৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৫ জন এবং নাটোরের ২ জন ব্যক্তির নতুনভাবে করোনা শনাক্ত হলো। এই নিয়ে এখন রাজশাহী জেলায় একদিনে নতুনভাবে করোনা শনাক্তের হার দাঁড়ালো ২৮ দশমিক ৭১ শতাংশে।
এদিকে, শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৬৯৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এই বিভাগে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ২৫৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে ৯৭ হাজার ১৩ জন।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) নাজমা আক্তার জানান, জানুয়ারি শুরু থেকে করোনার সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়তে হলে অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরতে হবে। জনবহুল স্থানে যাওয়া যাবে না। ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।
সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে শিশু ও বয়স্কদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। করোনার কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। আর যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থী এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকা নিয়ে নিতে হবে। এছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ আপাতত নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২২
এসএস/এএটি