ঢাকা: ‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রোগীদের আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি কমপ্লেক্স তৈরি চিন্তা-ভাবনা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখনো স্থান ও প্লান্ট ঠিক হয়নি তবে, সেটার জন্য সব কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রশাসনিক ব্লকের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সব রোগীদের জরুরি কমপ্লেক্সে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হবে। পরে ভর্তি প্রয়োজন হলে তাদের ওয়ার্ডের রেফার করা হবে। সেখানে সব বিভাগের রোগীদেরই রাখা হবে ও সব বিভাগের চিকিৎসকরাই রোগীদের চিকিৎসা দেবে।
বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো জরুরি বিভাগে এলোমেলোভাবে থাকে। হাসপাতালের ভেতরে কোনো ধরনের অ্যাম্বুলেন্স না থাকে সে বিষয় একটি একটি অ্যাপস তৈরি করা হচ্ছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার বলেন, দুই বছর বৈশ্বিক মহামারিভাবে যাচ্ছি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে কোভিডসহ সব ধরনের রোগীকে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু এই হাসপাতাল থেকে কখনো রোগী রেফার্ড করা হয় না।
মতবিনিময় সভায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা বলেন, স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এক বছরে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ যে অবদান রেখেছে অভাবনীয়।
টিটো মিঞা বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল একসঙ্গে কাজ করি। কোভিডের সময়ে কলেজের শিক্ষকরাও কাজ করেছেন।
বিকেলে হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, আপনাদের সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে এক বছরে আমরা পাঁচ লাখ মানুষকে টিকা দিতে পেরেছি। প্রতিদিন ৫ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া আপনাদের সবার পরিশ্রমের কারণে সুন্দরভাবে এখনো সেই কাজ চলছে। এছাড়া হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো. আশরাফুল আলমকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টাই মানুষের সেবার জন্য সজাগ থাকবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
এজেডএস/এএটি