ফেনী: চিকিৎসক ও জনবল না থাকায় ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা। উপজেলার প্রায় দেড় লাখ মানুষের একমাত্র স্বাস্থ্যসেবাদানকারী সরকারি এ প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন প্রায় তিন শতাধিক মানুষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর অর্ধেকের বেশি পদ শূন্য রয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ১২ জনের মধ্যে দুজন ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও দুজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলে গেছেন। গাইনি ডাক্তারসহ আরও একজন অ্যাটাচমেন্ট হিসেবে ফেনী সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত আছেন।
এছাড়া ইতোপূর্বে দুজন বদলি হয়েছেন বলে জানান হাসপাতাল সূত্র। ফলে বাকি তিনজন ডাক্তার দিয়ে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
মাঠ পর্যায়ে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী দিয়ে বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও মাঠে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে ইপিআই কার্যক্রমেও তীব্র সংকটে স্বাস্থ্যসেবা। গত তিন বছর চালক না থাকায় রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটিও পড়ে আছে।
উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মেহেদী হাসান ও রহিম উল্লাহ বলেন, চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। মাত্র তিনজন চিকিৎসক আর কতই রোগী দেখতে পারেন।
মুন্সীরহাট এলাকার আবুল কালাম চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, নিরুপায় হয়ে রোগীরা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে যেতে বাধ্য হয়। সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ফুলগাজী উপজেলার মানুষ।
চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত আইসোলেশনে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হক বলেন, চিকিৎসক সংকট তীব্র। ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। শূন্যপদের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
এসএইচডি/আরবি