ঢাকা: বাসচালক আব্দুর রাজ্জাক। মিরপুর লিংক পরিবহনের বাস চালান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা যায়।
বেশিরভাগ শ্রমিকরাই বলছেন, নিজ উদ্যোগে অনলাইনে আবেদন করে হাসপাতালে গিয়ে টিকা নিতে হচ্ছে তাদের। পরিবহন মালিক পক্ষ থেকে বিশেষভাবে কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।
পরিস্থান পরিবহনের বাসচালক আলী বাংলানিউজকে বলেন, এক মাসের ব্যবধানে আমি দুটি টিকাই নিয়েছি। অনলাইনে আবেদন করেছিলাম টিকার জন্য। এখন কিভাবে শ্রমিকরা টিকা দিচ্ছেন আমি বলতে পারিনা।
রাজধানী পরিবহনের হেলপার সুজন বাংলানিউজকে বলেন, সরকার যখন পরিবহন শ্রমিকদের টিকা দেওয়ার কথা বলেছিল, তখন মালিকপক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। প্রথম প্রথম মালিক পক্ষ থেকে টিকার জন্য আমাদের চাপ দেওয়া হতো। এখন তেমন চাপ নেই।
প্রজাপতি পরিবহনের এক হেলপার বাংলানিউজকে বলেন, অনলাইনে আবেদন করে হাসপাতালে গিয়ে টিকা দিতে হচ্ছে। মেসেজ না আসলে হাসপাতালে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড দেখালে টিকা দেওয়া যাচ্ছে।
ওই পরিবহনের লাইনম্যান আলামিন বলেন, আমি টিকার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছি। আমার মেসেজ দেরিতে আসছে। এ কারণে আমি একটি হাসপাতালে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড দেখিয়ে টিকা দিয়েছি।
এর আগে, করোনা সংক্রমণ রোধে পরিবহন শ্রমিকদের টিকা দেওয়া শুরু হয় ২০ জানুয়ারি (বুধবার)। সংক্রমণ ঠেকাতে সম্প্রতি সরকার ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, গণপরিবহন ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় সেবা প্রার্থীদের টিকা সনদ নিয়ে যেতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত গণপরিবহনের কত শতাংশ কর্মী টিকা নিয়েছেন, সেই পরিসংখ্যান সংশ্লিষ্টদের কাছে নেই। এ জন্য এই খাতের যারা টিকা নেননি, তাদের অগ্রাধিকারের আওতায় এনে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
এমএমআই/জেডএ