ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৭০৩ জনের।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৭২৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮২ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭১টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪২ হাজার ৭৮৪টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ হাজার ৫৬৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৮ লাখ ৫৫ হাজার ১৪২টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৩ জনের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ এবং নয় জন নারী। মৃত ৩৩ জনের মধ্যে রয়েছেন ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ছয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুইজন।
এতে আরও বলা হয়, মৃত ৩৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ছয়জন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, খুলনা বিভাগের দুইজন, বরিশাল বিভাগের একজন, সিলেট বিভাগের দুইজন, রংপুর বিভাগের একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের দুইজন রয়েছেন। মৃত ৩৩ জনের মধ্যে ২৭ জন সরকারি হাসপাতালে এবং পাঁচজন বেসরকারি হাসপাতালে ও একজন বাসায় মারা গেছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৩৭৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ২১১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৩২ হাজার ২৫২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৭০ হাজার ৪২০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৬১ হাজার ৮৩২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২২
আরকেআর/আরআইএস/