ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শীতজনিত রোগে হাসপাতালে শিশুদের ভিড়

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
শীতজনিত রোগে হাসপাতালে শিশুদের ভিড় মৌলভীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু রোগীদের ভিড়

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতের প্রকোপের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগ।

শীতজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। পাশাপাশি ডায়রিয়ার প্রকোপও বেড়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ওয়ার্ডে প্রতিদিনই বাড়ছে শীতজনিত শিশু রোগীদের ভিড়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ১ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত ৫১ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ডায়রিয়ায় ৩২ এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ১৯ শিশু। এ সময়ে ডায়রিয়ায় ২১ ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৯ শিশু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে।

মৌলভীবাজারের জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্র জানায়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে প্রায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। কয়েকদিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে এই জেলার ওপর দিয়ে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, হাসপাতালের আবাসিক ওয়ার্ডে শিশুরোগীর সংখ্যা বেশি। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।

মনসুর গ্রামের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত পাঁচ মাস বয়সী নাহিয়ানের মা শাহিদা আক্তার বলেন, গত কয়েক দিনের শীতে আমার ছেলে জ্বরে আক্রান্ত হয়। জ্বর বাড়ায় গত মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি করাই। এখনো সে সুস্থ হয়নি। এদিকে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। করোনার সময় হাসপাতালে থাকতে ভয় হচ্ছে।

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত আয়েশার মা তাহমিনা আক্তার, তোহার মা পুষ্প বেগম, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত সানির মা নার্গিস বেগমসহ একাধিক শিশুরোগীর অভিভাবকেরা জানান, জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া তীব্র শীতে শিশুরা জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছে। বেশ কয়েক দিনে জ্বর-সর্দির সঙ্গে ডায়রিয়ার প্রকোপও বেড়েছে। অবস্থা ভালো না হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। তবে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে হাসপাতালে রোগীর ভিড়ের কারণে তারা শঙ্কায় রয়েছেন বলে জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. জাকির হোসেন বলেন, দুই সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন ৮০ জনের বেশি শিশু হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসে। এদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। যেসব শিশুর শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। তীব্র শীতের প্রকোপে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।

শিশুদের প্রতি আরেকটু সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। শিশুদের গরম পরিবেশে রাখা এবং বেশি করে কুসুমগরমপানি পান করাতে হবে বলে জানান ডা. জাকির হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
বিবিবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।