ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

সিলেটে গণটিকা উৎসব: ‘যতক্ষণ মানুষ, ততক্ষণ টিকা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
সিলেটে গণটিকা উৎসব: ‘যতক্ষণ মানুষ, ততক্ষণ টিকা’

সিলেট: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সিলেটে চলছে গণটিকা উৎসব। দেশে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য আজকের গণটিকায়।

 

এরই অংশ হিসেবে আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সিলেট নগরের ৯৬ কেন্দ্রসহ বিভাগের ৫৮০টি কেন্দ্রে গণটিকা কার্যক্রম সকাল থেকে চলছে। দিনের শুরু থেকে টিকাদান যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে।      

জনসন অ্যান্ড জনসন’র সিঙ্গেল ডোজ টিকা নিতে সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। করোনা থেকে সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা প্রদানের কথা বলা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার ছিটেফোঁটাও নেই কেন্দ্রগুলোতে। এমনকি শিশুদের কোলে নিয়েও নারীদের টিকাকেন্দ্রে আসতে দেখা গেছে।     

সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, সরকার কর্তৃক সাড়ে ৪ লাখ লোকজনকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সিলেট বিভাগের লক্ষ্য ৭ লাখ। সে লক্ষ্য নিয়েই ৫৮০টি টিম বিভাগে টিকা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে।   

সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বাংলানিউজকে বলেন, বিভাগের চার জেলায় অন্তত ৭ লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যতক্ষণ কেন্দ্রে মানুষ থাকবে, ততক্ষণ টিকা দেওয়া হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে ৩ থেকে ৫শ’ মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও আমরা সংখ্যা নির্দিষ্ট রাখিনি। প্রয়োজনে প্রতি কেন্দ্রে সহস্রাধিক লোকজনকে টিকা দেওয়া হবে। আর নানা কারণে যারা টিকাদানের উৎসবে সামিল হতে পারবেন না, তাদের বিষয়ে পরবর্তীতে সরকার বিবেচনা করতে পারে।

তিনি বলেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভাগে সাড়ে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। শুধু শুক্রবারেই এক লাখ ৭ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে বেশিরভাগ ভ্রাম্যমাণ মানুষ। বেদে সম্প্রাদায়, রেল স্টেশনের কুলি, বাস টার্মিনালে পরিবহণ শ্রমিক, পতিতা, হিজড়া জনগোষ্ঠী, মাজারের ফকিরসহ ফুটপাতের ছিন্নমূল মানুষও রয়েছেন। তাদের রাতের বেলা ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে জনসন অ্যান্ড জনসন টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। কেননা, তাদের পুনরায় দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য খুঁজে পাওয়া যাবে না, তাই সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, এরইমধ্যে সিলেট বিভাগে প্রায় এক কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৭২ লাখ লোকজনকে প্রথম ডোজ এবং ৪৬ লাখ লোকজনকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) স্বাস্থ্য শাখা থেকে জানানো হয়, যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি, সেসব নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্ম নিবন্ধনপত্র নিয়ে কেন্দ্রে এসে টিকা গ্রহণ করতে পারছেন। যাদের এর কোনটিই নেই তারাও টিকা কেন্দ্রে এসে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।

আর যারা ইতোমধ্যে সুরক্ষা অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করেননি, তারাও আজ টিকা গ্রহণ করতে পারছেন। পরবর্তীতে তারা নগরভবনে স্থাপিত তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা গ্রহণের তথ্য সুরক্ষা অ্যাপসে হালনাগাদ করাতে পারবেন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, যারা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া গণটিকা ক্যাম্পেইনে টিকা গ্রহণ করছেন, তাদের কেন্দ্র থেকে একটি সরকারি টিকা কার্ড প্রদান করা হবে।

‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ কোভিড টিকা এক ডোজই যথাযথ সুরক্ষা প্রদান করে। এই টিকা গ্রহণকারীদের ২য় বার টিকা গ্রহণ করতে হবে না। এই ভ্যাকসিন সিঙ্গেল ডোজ হিসেবেই প্রস্তুত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
এনইউ/এমআরএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।