বাগেরহাট: অবৈধভাবে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে বাগেরহাটে ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা এবং ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় সোয়া ৫ লাখ (পাঁচ লাখ ২২ হাজার) টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২৯ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা ও সিলগালা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী মোংলায় অবৈধভাবে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার অপরাধে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করেন ইউএনও কমলেশ মজুমদার। সিলগালা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- রাতুল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রাজিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রাব্বি ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক, মুনতাহা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, খান ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং দিগরাজ এলাকায় খানজাহান ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
ফকিরহাটে সিলগারা করা হয়েছে ৭১ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চায়না ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ফকিরহাট শিশু হাসপাতাল নামে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে। এছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ইউএনও মো. মনোয়ার হোসেন।
মোল্লাহাটে শিকদার বাদশা মিয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারকে বন্ধের নির্দেশ, ২টি ক্লিনিককে ৯ হাজার টাকা জরিমানা এবং গাংনি এলাকার মাল্টি কেয়ার সার্জিকাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
কচুয়ায় হাজেরা খাতুন ক্লিনিক ও মালেক সুফিয়া ক্লিনিক সিলগালা করেছে উপজেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠান দুটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শরণখোলায় ২টি ক্লিনিককে সিলগালাসহ পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা, মদিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৪০ হাজার টাকা, হাসি ডেন্টালকে ৩০ হাজার টাকা, মুক্তা ডেন্টালকে ৩০ হাজার টাকা এবং আল আমিন ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া মইনুল ইসলাম নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মোরেলগঞ্জে ৩টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা ও ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
চিতলমারী উপজেলায় অবৈধভাবে চিকিৎসা সেবা পরিচালনার অভিযোগে ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পেমা প্যাথলজি সেন্টার নামে দুটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও বিভিন্ন ত্রুটি থাকায় ১২টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জনিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সদর উপজেলায়ও বিভিন্ন ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করে সতর্ক করেছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার রাকিব হাসান চৌধুরী।
অপরদিকে রামপালে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকায় কোনো তথ্য দিতে পারেননি ইউএনও মো. কবির হোসেন।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রট মো. হাফিজ আল আসাদ বলেন, জেলা সদর ও প্রতিটি উপজেলায় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। লাইসেন্স বিহীন বেশকিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং আইন অমান্য করায় জরিমানা করা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব ত্রুটি দূর করতে বলা হয়েছে। নাগরকিদের সু-স্বাস্থ্য রক্ষায় জেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
এমএমজেড
