ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘তামাক-বিরোধী কার্যক্রমে বাংলাদেশের এমপিরাই এগিয়ে থাকবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২২
‘তামাক-বিরোধী কার্যক্রমে বাংলাদেশের এমপিরাই এগিয়ে থাকবে’ ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: প্রতি বছর দেশের মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ মানুষ অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে, যার অন্যতম কারণ তামাক ও তামাকপণ্যের ব্যবহার। সংসদ সদস্যদের (এমপি) অংশগ্রহণে গঠিত ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনে কাজ করছে।

এ ধরণের কাজে বাংলাদেশের সংসদ সদস্যরাই সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে।

শনিবার (৩০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ‘সুরক্ষা ফাউন্ডেশন’ এবং ‘ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী তামাক সেবন করে। এখানে তামাক পণ্যের দাম সবচেয়ে কম। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে আছে পাবলিক প্লেসে (জনসম্মুখে) ধূমপান করলে মাত্র ৩০০ টাকা জরিমানা হয়৷ এটা বন্ধ করা জরুরি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য স্বাক্ষরিত চিঠি দিয়েছি৷ এটা বিশ্বের আর কোথাও হয়নি।

ডা. মিল্লাত বলেন, আগে একটা সময় সংসদ সদস্যরা তামাকের পক্ষে চিঠি দিতেন৷ সেই অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে৷ তামাকের কর বাড়ানোর সুপারিশ জানিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে ৮৬ জন সংসদ সদস্য স্বাক্ষরিত চিঠি দিয়েছি। আমরা ৪০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে কক্সবাজারে তামাক-বিরোধী কনফারেন্স করেছি। আমরা আশাবাদী খুব দ্রুতই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।

এর আগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় তামাক আইন সংশোধনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নিজাম আহমেদ৷ সেখানে উঠে আসে বিদ্যমান আইনের কিছু ফাঁকফোকড়ও। বেশ কিছু সুপারিশও তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে জনসম্মুখে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেট খুচরো বিক্রি নিষিদ্ধকরণ, ই-সিগারেট ও হিটেড টোব্যাকো নিষিদ্ধ করার মত বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশ এর লীড পলিসি এডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম, রত্নগর্ভা ফরিদা জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ফরিদা জামান।

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধি, স্কুল-শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ৩০ জুলাই, ২০২২
এমকে/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।