হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ শহরের সূর্যমুখী জেনারেল হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী মো. মহিউদ্দিন নিজেকে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। সেই সঙ্গে রোগীদের দেন টুকটাক চিকিৎসাও।
বিষয়টি বুঝতে পেরে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নূরুল হক তাকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
রোববার (২১ আগস্ট) অন্য একটি বিষয়ে তদন্ত করতে ওই হাসপাতালে গেলে বিষয়টি সিভিল সার্জনের নজরে আসে।
জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি সূর্যমুখী জেনারেল হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে বাহুবল উপজেলার চক্রামপুর গ্রামের বাসিন্দা শাকিরা বেগমের কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
পরে গত ১৪ আগস্ট শাকিরার স্বামী মো. মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ করেন যে নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহার ও সরঞ্জামে জীবানুনাশক ব্যবহার না করার কারণে পরে শাকিরার সেলাইয়ের স্থানে ইনফেকশন হয়। সার্জারি বিশেষজ্ঞ আরেকজন চিকিৎসকের মাধ্যমে ওই নারীর শরীরে দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার করাতে হয়। তখন ক্ষতস্থান থেকে ময়লা বের হয়েছে। এ চিকিৎসায় তাদের ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ টাকা সূর্যমুখী জেনারেল হাসপাতালের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দিতে সিভিল সার্জনের কাছে আবেদন করেন মোস্তাফিজ।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নূরুল হক বলেন, নানা করণেই ওই নারীর সেলাইয়ে ইনফেকশন হয়ে থাকতে পারে। অভিযোগ তদন্তের জন্য আমি সেখানে গিয়েছিলাম, অভিযোগের সত্যতা রয়েছে কি না, তা জানতে তদন্ত চলছে। আগামী রোববার আবার সেখানে যাব। এখনই নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, শাকিরার বিষয়টি তদন্ত করতে গেলে আরেকটি বিষয় নজরে আসে, সেটি তা হলো- হাসপাতালটির স্বাস্থ্য সহকারী মহিউদ্দিন নিজেকে মেডিক্যাল অফিসার পরিচয় দেন। টের পেয়ে তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আরও একজনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে। তবে সেদিন তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২২
এসআই