ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

‘শেখ রাসেলের নামে এসসিএএনইউর নামকরণ তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন’ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
‘শেখ রাসেলের নামে এসসিএএনইউর নামকরণ তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন’ 

ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ সারা দেশে ৭৪টি নবজাতকদের জন্য বিশেষ সেবা ইউনিটের (এসসিএএনইউ) নামকরণ বঙ্গবন্ধুর শিশু সন্তান শেখ রাসেলের নামে করা হয়েছে। একে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

 

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শহীদ ডা. মিলন অডিটরিয়মে ঢামেকসহ ৭৪টি হাসপাতালে স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট (এসসিএএনইউ) উদ্বোধন করার সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানান।  

তিনি বলেন, ঢামেক হাসপাতালসহ সারা দেশে ৭৪টি স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট (এসসিএএনইউ) উদ্বোধন করলাম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শিশু সন্তান শেখ রাসেলের নামে সেটা নামকরণ করা হলো। কিছুটা হলেও দায়মুক্ত হলাম, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলাম। সম্মান প্রদর্শন করার সুযোগ পেলাম।

মন্ত্রী বলেন, দেশে আজ মা এবং নবজাতকের মৃত্যুর হার অনেক বেশী। বছরে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ শিশু মারা যায়। এই মৃত্যুর হার কমাতে স্ক্যানু (এসসিএএনইউ) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে মৃত্যুর হার কমে আসবে। অনেক জেলায় স্ক্যানু নাই, সেসব জেলাতেই বসানো হবে। শুধু স্ক্যানুর মাধ্যমে মৃত্যুর হ্রাস করা সম্ভব নয়। মা ও শিশুদের পুষ্টির দিক খেয়াল রাখতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ ও ১০টি সিসিইউ চালু করার কাজ প্রায় সম্পন্ন। স্বাস্থ্য সেবাকে ডিজিটালাইজড করতে কাজ করছে সরকার। কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ৫ম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৬০ শতাংশ লোক কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিল। তখনও তারা যে যেখান থেকে অবস্থানে কাজ করে গেছে। এখনো মানুষের সেবার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে দুইটি প্রতিষ্ঠান আছে। যার একটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। যেখানে কোনো রোগী চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত যায় না। ফ্লোরে রেখে হলেও চিকিৎসা দেওয়া হয়। আমরা আর ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দিতে চাই না। বেডে রেখে চিকিৎসা দিতে চাই। হাসপাতালের অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। দ্রুতই হাসপাতালের কাজ শুরু হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ হাসপাতাল হবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।  

মন্ত্রী বলেন, ঢামেক হাসপাতাল নতুন করে মৃত ব্যক্তিদের জন্য গোসলের ব্যবস্থা করেছে। কোনো গরীব রোগী মারা গেলে যেন বিনা পয়সায় সেখানে গোসলসহ অন্যান্য কাজ করতে পারে। এ রকম প্রত্যেক হাসপাতালে মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা করা হবে। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অ্যাপস তৈরী করা হয়েছে। এ কারণে রোগী ও স্বজনদের ভোগান্তি কমে যাবে। বাংলাদেশের সব জায়গায় এটা চালু করা হবে। স্বাস্থ্য সেবা তদারকির জন্য মন্ত্রণালয় থেকে চারটি টিম তৈরী করা হয়েছে। তারা সব সময় তদারকি করবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সেবার সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আমিরুল মোর্শেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক, সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফুল আলম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, স্ক্যানুর সঙ্গে শেখ রাসেলের নাম যুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, ততদিন স্ক্যানুর সঙ্গে শেখ রাসেলের নাম থাকবে। আর এই স্ক্যানুর জন্য মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব।

এর আগে মঞ্চে উপস্থিত ব্যক্তিরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
এজেডএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।