ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

গবেষণা ছাড়া উৎকর্ষ সাধন সম্ভব নয়: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
গবেষণা ছাড়া উৎকর্ষ সাধন সম্ভব নয়: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: স্বাস্থ্য খাতে গবেষণা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের গবেষণা এখনো অপ্রতুল। আসলে গবেষণা ছাড়া কখনো উৎকর্ষতা সাধন করা যায় না।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনির্মিত ‘সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল’ ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ বলেন।

প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা, গবেষণা কার্যক্রমের গুণগত মানোন্নয়নের নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আপনারা এখন যেটুকু করছেন সেজন্য ধন্যবাদ জানাই। তবে, গবেষণার ওপর আরও গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের গবেষণা এখনো আমাদের অপ্রতুল।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমাদের যারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন তাদের শুধুমাত্র চিকিৎসা দিলেই চলবেনা সঙ্গে সঙ্গে তাদের কিন্তু গবেষণা করাটাও জরুরি। কাজেই আপনাদের অনুরোধ বিষয়টির প্রতি বিশেষভাবে নজর দেন।

তিনি এ সময় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে প্রফেসর এমিরেটাস নিয়োগ দেওয়ায় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করে বলেন, আপনারা নিজেদের প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করবেন সেই আহ্বানই জানাই।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় চিকিৎসকদের শহরকেন্দ্রিক না হয়ে উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে স্বাস্থ্যসেবাকে তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানান।

পাশাপাশি অনলাইনে চিকিৎসা সেবাও জোরদার করার পরামর্শ দেন। তিনি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চিকিৎসার সুযোগ বাড়ানোর  প্রয়োজন উল্লেখ করে বলেন, সেবার মানটাও যাতে বাড়ে সেজন্যও ব্যবস্থা নিতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বক্তব্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বলেছিলেন, ‘আপনারা ডাক্তার, আপনাদের মন হতে হবে অনেক উদার, আপনাদের মন হতে হবে সেবার। আপনাদের কাছে কোনো বড়-ছোট থাকবে না। আপনাদের কাছে থাকবে রোগ, কারো রোগ বেশী কারো কম। তাহলেই সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে। আপনারা মানুষের সহযোগিতা পাবেন। ’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল এবং বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিএসএমএমইইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল এবং বিএসএমএমইউর সার্বিক কর্মকাণ্ডের ওপর পৃথক দুটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।

প্রায় ৪ একর জমির ওপর মোট ১ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। এরমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে এক হাজার কোটি কোটি টাকা, সরকার বরাদ্দ করেছে ৩৩০ কোটি টাকা এবং ১৭০ কোটি টাকা দিয়েছে বিএসএমএমইউ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
আরকেআর/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।