ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, হাসপাতালের আশেপাশ থেকে দালালমুক্ত করতে হবে। দালাল হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আয়োজিত ‘৫-১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
রোগীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দানের কথা উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বাজেট। অথচ আমরা যে রকম সেবা চাচ্ছি, এখনও সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে, সামান্য কিছু কাজে আমাদের বদনাম হবে, সুনাম নষ্ট হবে এটা আমরা আর সহ্য করবো না।
জেলা সিভিল সার্জনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা কাজ করবেন, তাদের আপনারা সহযোগিতা, প্রশংসা করবেন, পুরস্কৃত করবেন। আর যারা কাজ করবে না, তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। হাসপাতালে ডাক্তার নার্সসহ সকলের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। ডাক্তার-নার্সদের উপস্থিতি ছাড়া হাসপাতাল একটা বিল্ডিং আর যন্ত্রপাতি ছাড়া কিছুই না। হাসপাতালের আশেপাশে থেকে দালালমুক্ত করতে হবে। দালাল হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করে। দালালরা নানান কথা বলে রোগীদের আশেপাশের ক্লিনিকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। দালালদের আপনারা কঠিন হাতে দমন করবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের হাসপাতালের এক্সরে মেশিন, আলটাসনোগ্রাম মেশিনসহ অন্যান্য মেশিন ঠিক আছে কিনা, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন। সরকারি হাসপাতালের রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা যেন হাসপাতালেই হয়, বাইরে যেন, না যেতে হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
তিনি বলেন, যেসব ক্লিনিক হাসপাতাল গড়ে উঠেছে, যন্ত্রপাতি এবং সঠিক জনবল নাই, তাদের সব বন্ধ করে দেওয়া হবে। অনুমোদন ছাড়া কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক চলতে দেওয়া হবে না। সেটা বন্ধ করে দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের।
অনুমোদনহীন ক্লিনিক-হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার পর আবার যেন দুইদিন পর অনুমোদন ছাড়াই চালু না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমি লক্ষ্য করেছি, হাসপাতালগুলোতে অনেক বেশি ভিজিটর আসেন। একজন রোগীর চার পাঁচজন ভিজিটর চলে আসেন। আবার প্রতিটা রোগীর সঙ্গে একজন অ্যাটেনডেন্ট থাকেন। হাসপাতালে ভিজিটর কন্ট্রোল করতে হবে। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ কন্ট্রোল করতে হবে। পৃথিবীর কোনো দেশের হাসপাতালে সময়ের আগে কোনো ভিজিটর অ্যালাও করে না, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বা আনওয়ান্টেড পিপল এলাও করে না। এটাও আপনাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মো আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
আরকেআর/এসআইএস