ভোলা: ভোলা সদর হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার তিন গুণ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন ৩২৫ রোগী।
এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ডেঙ্গু, ডায়রিয়া ও শিশুদের নিউমোনিয়া রোগীদের চাপ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। তবে নিউমোনিয়ার প্রকোপ তুলনামূলক বেশি।
গত এক মাসে জেলায় ৪৮৮ জন শিশু নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩২ জন এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত গত এক সসপ্তাহে ২৭৫ জন। হঠাৎ করেই ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় অনেকটা দুশ্চিন্তায়গ্রস্ত হয়েছে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে, ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও হাসপাতালে এ রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট রাখা হয়নি। এতে হাসপাতালে থাকা অন্য রোগীদের রোগটি ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
শুধু তাই নয়, ১০০ শয্যার এ হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন তিন শতাধিক রোগী। এতে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা দেওয়া হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নিউমোনিয়া আক্রান্ত ১৬ জন, ডেঙ্গু আক্রান্ত চার এবং ডায়রিয়া আক্রান্ত ৫১ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ভোলায় ক্রমান্বই বাড়ছে ডেঙ্গু, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ। চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে রোগ বাড়ছে। এতে রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার-নার্সরা।
গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আটজনসহ এরই মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩২ রোগী। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আরও চারজন।
অন্যদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ এবং গরমের প্রভাবে বেড়েছে ডায়রিয়া ও শিশুদের নিউমোনিয়া। ফলে শয্যা সংকট দেখা যাওয়ায় রোগীরা মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেড়েছে রোগীর চাপ। তবে ডেঙ্গু নিয়ে অনেকটা চিন্তিত রোগীর স্বজনরা। কারণ এ রোগীদের জন্য নেই আলাদা কোনো ইউনিট।
রোগীর স্বজন সোহাগ, মনসুর, সুরাইয়া ও মাসুমসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা ইউনিট রাখা হয়নি, এতে অন্য রোগীরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এদিকে হাসপাতালটিতে শিশু এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে অবস্থা অনেকটা নাজুক। সেখানে রোগীদের চাপ বেড়েই চলছে। এতে আতঙ্কিত রোগীর স্বজনরা।
এ অবস্থায় হাসপাতালের পরিবেশ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর স্বজনরা।
চিকিৎসাধীন রোগীর এক স্বজন সাহনাজ বেগম বাংলানিউজকে বলেন, শয্যা না থাকায় রোগীকে নিয়ে মেঝেতে চিকিৎসা করাচ্ছি। এতে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে।
তবে রোগী বাড়লে ডেঙ্গুর জন্য আলাদা ইউনিট খোলার কথা জানিয়েছে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ লোকমান হাকিম। তিনি বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে রোগীদের চাপ বাড়ছে। তবে আমরা পর্যপ্ত সেবা দিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
এসআরএস