বাগেরহাট: বাগেরহাটে শিক্ষার্থীদের করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান এ টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এসময় বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ, বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার বখসি, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহ আলম, ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চুসহ স্বাস্থ্যকর্মী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্দিষ্ট সময়ের আগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অতিথিরা। টিকাভীতি দূর করতে শিক্ষার্থীদের নানা ধরণের উৎসাহ দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকের উদ্বোধনের পরেই প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু করেন। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফুর্থভাবে টিকা নেন। এদিন ষাটগম্বুজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭০ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়।
এছাড়াও জেলার ৪৫০টি বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে মঙ্গলবার। ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৯৯৭টি বিদ্যালয়ের এক লাখ ৯০ হাজার ৯৫২ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
নিজেরা টিকা গ্রহণের পরে সন্তানদের টিকা দিতে পেরে খুশি অভিভাবকরা।
হাসিব শেখ নামের এক অভিভাবক বলেন, আগে আমরা স্বামী-স্ত্রী টিকা নিয়েছিলাম। আজ আমার প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলেকে টিকা দিলাম। এখন অনেকটা নিরাপদ মনে হচ্ছে নিজেদের।
রাবেয়া বেগম নামের আরেক অভিভাবক বলেন, তৃতীয় শ্রেণির মেয়েকে টিকা দেওয়ালাম। খুব ভাল লাগছে। এখন নিশ্চিন্তে সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে পারব বলেও জানান এ অভিভাবক।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার বকসি বলেন, করোনা প্রতিরোধে টিকা অনেক বেশি কার্যকর। তাই আমরা শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া শুরু করেছি। তবে শিক্ষার্থীদের টিকার ক্ষেত্রে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে, সেই শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চেষ্টা করব এই কর্মসূচি সফল করতে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, আগে যেসব শিশু ও বড়দের টিকা দেওয়া হয়েছে। তারা সুস্থ্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে করোনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য, বিভাগ, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগসহ সব দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে আমরা শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি জেলায় শতভাগ সফল করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ১০ অক্টোবর ২০২২
এনএইচআর