ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

দফায় দফায় কর্মবিরতি শেষে কর্মচঞ্চল রামেক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
দফায় দফায় কর্মবিরতি শেষে কর্মচঞ্চল রামেক কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

রাজশাহী: ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দফায় দফায় কর্মবিরতিতে ভেঙে পড়েছিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা। সাধারণ রোগীদের সীমাহীন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছিল।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রোগীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত কর্মবিরতির মতো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি থেকে সরে এসেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। রোববার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহর করে নেন। এরপর রোস্টার অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে তারা কাজে যোগ দেন।

ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার শেষে দায়িত্ব পালন শুরু করায় আবারও রোগী ও তাদের স্বজনদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। চিকিৎসা সেবা নিয়ে সেখানে টানা কয়েক দিনের অচলাবস্থা কেটেছে। আবারও স্বাভাবিকতায় ফিরে এসেছে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে সাধারণ রোগীদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছিল প্রশান্তির ছায়া। সবাই যেন ভোগান্তি থেকে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। সবার মধ্যেই ফিরেছে স্বস্তি। তারা এমন দুর্ভোগের কর্মসূচি আর দেখতে চান না বলেও জানান।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল রোববার থেকেই ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কাজে ফিরেছেন। তাই গতকাল থেকে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কর্যক্রমে গতি ফিরেছে। আর আজ সোমবার সকাল থেকে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি যেন আর তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে কাজ করছেন বলেও উল্লেখ করেন হাসপাতাল পরিচালক।

রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে রামেক হাসপাতালের পরিচালক, রামেক অধ্যক্ষ, চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) সামির হোসেন সাদি কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা জানান।

গত বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় ব্লকের বারান্দা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী গোলাম মোস্তফা শাহরিয়ার। ওই রাতেই রামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে ওই সময় আইসিইউ চেয়েও না পাওয়া এবং চিকিৎসা না হওয়ার অভিযোগ তুলে রাবি শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালান।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে তাদের মারামারির ঘটনাও ঘটে। এরপর কর্মবিরতি শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। পরে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে তা স্থগিতও করেন। এরপর ঘটনাটি নিয়ে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রাবি কর্তৃপক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেন। এরপর রাবি শিক্ষার্থীদের গ্রেফতারের দাবিতে গত শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর থেকে ফের ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। রোববার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত হাসপাতালের সামনে তারা বিক্ষোভ করেন। পরে বিকেলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন ইন্টর্নরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।