অনেক মানুষের জীবনে ঋণ একটি বড় সমস্যা। ঋণে জর্জরিত জীবনে কোনো সুখ আর অবশিষ্ট থাকে না।
সকাল-বিকেল পাওনাদারের মুখোমুখি হতে হতে বাঁচার ইচ্ছেই অনেকের চলে যায়। হাজার চেষ্টা করেও ঋণের হাত থেকে মুক্তি পান না অনেকেই। ঋণের প্রভাব পড়ে সংসারে,কর্মক্ষেত্রে,ব্যবসায়, এমন কি সামাজিক সম্মানে।
জানেন কি, আপনি যে বাড়িতে বাস করছেন বা আপনার অফিসে বাস্তুমতে তার প্রভাব ঋণের উপর বড় কাজ করে। ভুল দিকে ভুল জিনিস রাখার ফলে বাড়তে পারে ঋণের পরিমাণ।
ইচ্ছে না থাকলেও ঋণের অতলে তলিয়ে যাওয়ার পেছনে বাস্তুসমস্যা থাকতে পারে। কি সেই বাস্তুসমস্যা? কিভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়?
বাস্তুমতে, বাড়ির উত্তর দিক বন্ধ থাকলে ঋণ হয়। বাড়ির উত্তর দেওয়ালে একগাদা আসবাবপত্র রাখা থাকলে ঋণের সংকট আসে।
বিশেষ করে উত্তর দিকে আলমারি জাতীয় আসবাব রাখা ঋণের পক্ষে কাজ করে। বাড়ির উত্তর দিক বন্ধ ও দক্ষিণ দিক খোলামেলা থাকলে তা বাস্তুসমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এর ফলে জীবনে ঋণ হতে পারে।
এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মাটির নিচে জলের ট্যাঙ্ক থাকলে তা ঋণের পক্ষে সহায়ক। তবে ঋণ শুধু ব্যক্তি জীবনে নয়, ঋণ কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকেও সমস্যার মুখে ফেলতে পারে।
কোনো কোম্পানি ঋণের ভারে জর্জরিত হলে সেই কোম্পানির অফিসের উত্তর-পূর্ব দিক পরীক্ষা করা বাঞ্ছনীয়। উত্তর-পূর্ব দিকে দাহ্য পদার্থ বা কোনো তাপ উৎপাদনকারী পদার্থ থাকলে কোম্পানিতে শ্রমিক সমস্যা, আর্থিক ক্ষতি লেগেই থাকবে।
অনেক কোম্পানি আবার আইনগত জটিলতা কাটিয়ে বেরুতেই পারে না। এক্ষেত্রে অফিসের জলের উৎসটা কোন দিকে হবে তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
অফিসটি যে জমির উপর অবস্থিত তার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে মাটির নিচে জলের ট্যাঙ্ক থাকলে এ ধরনের সমস্যা লেগেই থাকবে।
কিন্তু এর কারণ কি? এর কারণ হলো দক্ষিণ-পূর্ব অগ্নিদেবের দিক। জল ও আগুন পরস্পরের শত্রু। তারা কখনোই একসঙ্গে থাকতে পারে না। তাই দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে জলের ট্যাঙ্ক সরিয়ে ফেলা বাঞ্ছনীয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৪