ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাশিফল

শরীর সুস্থ রাখতে শঙ্খ

জ্যোতিষী রুবাই | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৪
শরীর সুস্থ রাখতে শঙ্খ

শঙ্খ সমুদ্রের তলার এক অমূল্য সম্পদ। এটি শুধু দেখতে সুন্দর নয়,  শঙ্খকে ভারতীয় উপমহাদেশে একটি পবিত্র বস্তু বলেও মনে করা হয়।



একদিকে শঙ্খ যেমন বাদ্যযন্ত্র অন্যদিকে প্রাচীন বিভিন্ন গ্রন্থে বলা আছে বাড়িতে শঙ্খ থাকলে, সুখ-সমৃদ্ধি আসে।

শঙ্খ শুধু কোনো একটি বিশেষ ধর্মের উপচার নয়। প্রাচীনকাল থেকে শঙ্খ বার্তা পাঠানোর অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে।

আজও বিভিন্ন আদিবাসী সমাজে শঙ্খকে বার্তা পাঠানোর বিশ্বস্থ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

বাস্তু বিজ্ঞানেও শঙ্খকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাস্তু বিজ্ঞান অনুযায়ী, বাড়িতে শঙ্খ থাকলে, তা পজিটিভ এনার্জিকে আকর্ষিত করে।

আবার বাস্তু অনুযায়ী, যত দূর শঙ্খ ধ্বনি পৌঁছায়, ততো দূরের বায়ু শুদ্ধ হয়ে যায়। শঙ্খের শব্দের ফলে সুপ্ত ভূমিও জেগে ওঠে। ভূমি শুদ্ধ হওয়ার ফলে রোগ এবং কষ্ট কমে যায়। সেই বাড়ির লোকজনেরও উন্নতি হয়।

শঙ্খের শব্দের যে তরঙ্গ আছে সেটিকে জীবাণুনাশক বা জীবাণু প্রতিরোধক হিসেবে প্রাচীন পুঁথি-পত্রে বলা হয়েছে।

শঙ্খ অনেক রোগে ওষুধের কাজ করে।

১.  যদি কারো উচ্চারণে অস্পষ্টতা থাকে বা কারও কথা বলার সময় অসুবিধা হয় বা তোতলামি আছে তাহলে প্রাচীন বাস্তু শাস্ত্র মতে, রোজ কিছুক্ষণ শঙ্খ বাজানো উচিত। এতে আবার বেশ কয়েক ধরনের ফুসফুসের রোগও সেরে যায়।

আবার প্লীহা, ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগে আক্রান্ত কেউ বাড়িতে থাকলে শঙ্খ ধ্বনিতে উপকার হয় বলে বাস্তু শাস্ত্রে বলা আছে।



২. শঙ্খের জল পান শরীরের পক্ষে উপকারী। প্রাচীন পণ্ডিতেরা গর্ভ ধারণ এবং গর্ভস্থ শিশুর বিকাশের জন্য শঙ্খের জল পান করার কথা বলেছেন। সম্ভবত সেই প্রাচীন কালেই শঙ্খের মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক খনিজ পদার্থ গুলোর সন্ধান পেয়েছিলেন।

৩. বাস্তু মতে রোজ সকালে দক্ষিণাবর্তী শঙ্খে অল্প জল ঢেলে ঘরে ছিটিয়ে দিলে নেগেটিভ এনার্জি দূর হয়। একটি কাঁচের বাটিতে লঘু মোতী শঙ্খ রেখে, তা নিজের বিছানার কাছে রাখলে দম্পতির মধ্যে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।

৪. প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা আছে, শঙ্খ ঘসে চোখে লাগালে ফোলা ভাব দূর হয়। শঙ্খ ভস্ম যথাযথ অনুপাতে ব্যবহার করলে পিত্ত, কফ, প্লীহার  সমস্যা দূর হয়।

ত্বকের সমস্যা থাকলে শঙ্খের ভস্ম নারকেল তেলে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে রোজ লাগানো যেতে পারে বলেও মনে করেন প্রাচীন আয়ুর্বেদ পণ্ডিতরা।

৫. শুদ্ধ জাফরান গরম দুধে মিশিয়ে রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে শঙ্খের সাহায্যে পান করলে স্মৃতি শক্তি এবং শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

উচ্ছের রসে শঙ্খ ভস্মের সঙ্গে মিশিয়ে, তা গরুর দুধে দিয়ে পান করলে ডায়াবেটিস দূর হতে পারে বলে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা আছে।

বাংলাদেশ সময়:০০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।