ঘরে আয়না বা দর্পণ নেই এমন বাড়ি হয়তো খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। আয়নার সামনে গোটা দিনের বেশিরভাগ সময় না কাটালেও প্রায় সবাই বাড়ি থেকে বেরুবার আগে একবার আয়নার সামনে দাঁড়াতে ভোলেন না।
তবে এই আয়না যদি হয় আপনার ভাগ্য দর্পণ! কেমন হয়? কিংবা আয়না যদি দেখিয়ে দেয় আপনার জীবনের সাফল্যের পথ। মনে হতে পারে রূপকথা কিংবা কল্পবিজ্ঞানের গল্প।
তবে বাস্তুতন্ত্র সেরকম কথাই বলছে। বাস্তুমতে, ঘরে আয়না নিশ্চয়ই থাকবে। কিন্তু তার অভিমুখ সঠিক না হলে অনেক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে আপনাকে। আর যদি সঠিক অভিমুখে থাকে আয়না, তবে আপনার সৌভাগ্যের দীপ্তি শুধু আপনারই নয়, চোখে পড়বে অন্যদেরও।
বাড়ির যে ঘরটিতে আপনি থাকেন বা অফিসের যে ঘরে বসে কাজ করেন সব সময় সেই ঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে আয়না লাগান। এতে আপনার যেমন শ্রীবৃদ্ধি হবে তেমনি উপার্জনের পথের বাধাও দূর হবে।
আয়না এমনভাবে টাঙাবেন যাতে আয়নায় কোনো শুভ বস্তুর প্রতিবিম্ব সেখানে সবসময় প্রতিফলিত হয়। এতে আপনারই ভাগ্যের উন্নতি ঘটবে।
কখনোই ঘরের দরজা বা জানালার ঠিক বিপরীতে আয়না লাগাবেন না। বাস্তুমতে এটি অশুভ লক্ষ্মণ।
ঘরের চার কোণে কখনোই আয়না আটকাবেন না। এতে আপনি ও আপনার পরিবার অশান্তিতে ভুগবে।
যদি ঘরের কোনো জায়গা সবসময় অন্ধকার হয়ে থাকে, সেখানে চটপট একটা গোলাকার একটি আয়না লাগিয়ে ফেলুন। এই আয়না ওই স্থানে জমে থাকা সমস্ত নেগেটিভ এনার্জি দূর করে দেবে।
শোয়ার ঘরের খাটের সামনে কোনো আয়না সাজিয়েছেন নাকি? শিগগিরই সরিয়ে ফেলুন। না হলে কোনোদিন দাম্পত্যজীবনে সুখ আসবে না।
আয়না যত বড়ো আর হালকা হবে ততই ভালো। ঘরে যত খুশি আয়না রাখুন কিন্তু টুকরা টুকরো আয়না এক জায়গায় জড়ো করে টাঙাবেন না। এতে আয়নায় আপনার খণ্ডিত ছায়া পড়বে। যা মোটেই শুভ নয়।
বাস্তুমতে, আয়না সব সময় ঢেকে রাখাই ভালো। এর জন্য কাপড়ের ঢাকনা ব্যবহার করতে পারেন। না হলে, আলমারি বা ড্রেসিংটেবিলের ভিতরের পাল্লায় আয়না লাগান। যাতে পাল্লা খুললে তবেই আয়না দেখা যাবে
দেওয়ালের অনেক উপরে বা বেশ খানিকটা নীচে আয়না লাগাবেন না। এতে বাড়ির লোকজন বারবার অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
মনে রাখবেন, ঘরের আয়নার কাচ যেন কখনোই ঝাপসা, মলিন বা ভাঙাচোরা না হয়। এমন আয়না ব্যবহার করলে আপনার ভিতরে নেগেটিভ এনার্জি তৈরি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৪