ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

রাশিফল

বাস্তুমতে কেমন হবে গ্রামের বাড়ি

জ্যোতিষী রুবাই | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৫
বাস্তুমতে কেমন হবে গ্রামের বাড়ি

বাস্তুশাস্ত্র কি শুধু শহরের মানুষের জন্য? বাস্তুশাস্ত্রে কি শুধু শহরের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির কথাই বলা রয়েছে? গ্রামের বাড়িঘর সম্পর্কে কি কিছুই বলা নেই? অবশ্যই আছে। সোনার বাংলার এক বিরাট অংশ গ্রাম।

সেখানে বাস করেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। অজ পাড়াগাঁয়ে থাকেন বা গ্রামে বাড়ি আছে সেই সমস্ত পাঠকদের জন্য থাকলো গ্রামের বাড়িঘরের একটি বিশেষ বাস্তু পর্যালোচনা।

শহর যদি হয়ে থাকে গতিময় জীবনের প্রতিচ্ছবি তবে গ্রাম তার প্রাণবায়ু। তাই গ্রামের বাড়ি নির্মাণ ও প‍ুনর্গঠনের সময় বাস্তুশাস্ত্রের নিয়মগুলি মেনে চলা দরকার। এ কারণেই বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে গ্রামীণ মানুষের 'গৃহ নির্মাণ'-এ কি কি রীতি-নীতি মেনে চলা উচিত সে ব্যাপারেই কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:

● গ্রামে বাড়িঘর নির্মাণের জন্য চৌকো অথবা আয়তাকার জমি নির্বাচন করা প্রয়োজন।

● জমির পরিমাণ যদি পর্যাপ্ত হয় তাহলে চারপাশ যথাসম্ভব খোলামেলা রাখা সুবিধাজনক।

● বাড়িতে কুয়ো বা নলকূপ নির্মাণ করতে হলে সেটি উত্তর দিকের উত্তর-পূর্ব অংশ বা পূর্বদিকের উত্তর-পূর্বদিকে করুন।

● বসবাসের জন্য সবচেয়ে বড় ঘরটি নির্মাণ করুন দক্ষিণ বা পশ্চিম অংশে।

● উত্তর ও পূর্ব দিকে অপেক্ষাকৃত ছোটো ঘরগুলি নির্মাণ করুন।

● রান্নাঘর নির্মাণ করুন অগ্নিকোণ অর্থাৎ, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। বাড়ির প্রান্তসীমার দিকে নির্মাণ করুন শৌচাগার ও স্নানাগার।

● তবে ঈশাণ কোণ, অর্থাৎ উত্তর -পূর্ব দিকে ও অগ্নিকোণ অর্থাৎ, দক্ষিণ -পূর্ব দিকে কোনোভাবেই শৌচাগার থাকবে না।

● জল নিকাশি নালা যেন পূর্ব বা উত্তর দিকে না থাকে তা সুনিশ্চিত করতে হবে।

● গোয়াল ঘর করতে হলে তা নির্মাণ করুন বসবাসের ঘর থেকে বেশ কিছুটা দূরে পশ্চিম দিকে।

● গৃহস্বামী চাষ-আবাদ বা কৃষিকার্যে যুক্ত থাকলে বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যেই ধানের বা পাটের গোলা নির্মাণ করুন।

● বাড়িতে পশুশালা বা খামার থাকলে বিশেষ যত্নের সঙ্গে সেটি নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত যাতে চোর, মশা-মাছি ইত্যাদি খামারে অবস্থিত পশুগুলিকে বিরক্ত না করতে পারে।

● সুযোগ-সুবিধা থাকলে গরু, মোষ, ছাগল বা অন্যান্য পশুকে আলাদাভাবে রাখার ব্যবস্থা করুন।

নিয়মগুলি মেনে চলতে পারলে গ্রামের মানুষের জীবন আরও সুন্দর ও আনন্দময় হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৫
এএ/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।