দাম্পত্য জীবনের বয়স যাই হোক না কেন দাম্পত্য প্রেম একটি অনুভূতি। এই প্রেমকে টিকিয়ে রাখতে গেলে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই সমান দায়িত্ব থাকে।
কিন্তু আধুনিক যুগে বদলে যাচ্ছে সম্পর্কের ধারণা। সময়ের সঙ্গে বাড়ছে দাম্পত্য বিচ্ছেদের ঘটনা। এ ঘটনাগুলি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে প্রশ্ন উঠছে আমাদের সামাজিক কাঠামোর টিকে থাকা নিয়ে।
এই দাম্পত্য সমস্যা সমাধানের একটি পথ বাস্তুশাস্ত্র। যে সময়ে আপনি জেগে আছেন, সেই সময়ে আপনার জীবনের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কিন্তু যখন আপনি ঘুমন্ত, সেই সময়ও চলতে থাকে জীবন। কিন্তু তখন সেটি আপনার নিয়ন্ত্রণের সম্পূর্ণ বাইরে। তার ব্যাপক প্রভাব পড়ে দাম্পত্যে ও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে।
১. বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী যখন কোনো দম্পতি বিছানায় দু'টি আলাদা গদি ব্যবহার করেন তখন তাদের মধ্যে মতপার্থক্য বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ভালোবাসা বজায় রাখার জন্য কখনও বিমের নীচে বিছানা রাখবেন না। বিম বিচ্ছিন্নতার প্রতীক, যা সম্পর্কে দূরত্ব বাড়ায়।
৩. বিমের নীচে থেকে বিছানা সরাতে না পারলে বা ঘরে বিম থাকলে সেখানে উইন্ড চাইম লাগানো উচিত। এতে বাস্তুদোষ দূর হয়।
৪. বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়েছে, সন্তান প্রাপ্তি পর্যন্ত নব বিবাহিত দম্পতি উত্তর-পশ্চিম বা উত্তর দিকের মধ্যের একটি শয়নকক্ষে শোয়া উচিত। এতে শুধু ভালোবাসা বাড়ে তাই নয়, এর ফলে সন্তান প্রাপ্তির ইচ্ছা পূরণ হয়।
৫. স্বামী-স্ত্রীর শয়নকক্ষে ড্রেসিং টেবিল রাখা উচিত নয়। ড্রেসিং টেবিল থাকলে তা এমনভাবে রাখা উচিত, যাতে শুয়ে ওঠার সময় নজর না যায়।
৬. দাম্পত্য জীবনে প্রেম ও বিশ্বাস বজায় রাখার জন্য বালিশের ঢাকনা এবং বিছানার চাদর ২-৩ দিন অন্তর অবশ্যই বদলে ফেলা উচিত।
এই ছোট ছোট বিষয়গুলি মেনে চলার চেষ্টা করুন। আপনি অনুভব করতে পারবেন, এর ফলে আপনার দাম্পত্য জীবনের মান পরিবর্তন হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
এএ